রঙয়ে চটচটে উচ্ছাসে--- ভুধরের এই স্বর্গের দুয়ারে
এক পা রেখেই মনে পড়ে যায় তোমায়;
সামনের পা ফিরিয়ে নিই পেছনে
রঙয়ের মোহ এক দিকে অন্যদিকে আবার তুমি,
দোটানায় পা গুনতে থাকি
তোমার কাছে যাবো সেই কবে থেকে জেনে বসে আছি
তুমি আসবে আমার দুয়ারে তাও জানি।
তুমি সবার কাছেই যাও দেখেছি কত;
আচ্ছা আরেকটু সময় দাওনা!
গুছিয়ে নিয়ে আসি আরও কিছু।
না না আগে এসো না বলছি,
আমিই আসবো সময় করে
সব কিছু গুঁছিয়ে নিয়ে।
কত দিন যাইনি সেখানে,
দাড়াও কিছু দিন সময় দাও,
আরও কিছুদিন ঘুরে আসি
এমন বেপরোয়া কেন তুমি?
আরে হ্যাঁ জানিতো---
তোমার কাছে যাওয়ার পর
তুমি আর কারও সাথে কথা বলতে দেবেনা,
মিশতে দেবেনা , ভাসতে দেবেনা শ্রাবণের ভরা নদীতে,
ছাদের কোনায় দাড়ায়ে চাঁদ দেখতে দেবেনা,
শ্রাবণ-ভাদর গুনে গুনে কবিতাও লিখতে দেবেনা;
এত অহংকারী কেন তুমি?
বুঝিনা এত কেন অবুঝের মত আচরণ,
এমন হয়ে ওঠো কেন তুমি!
বাপটা আমায় ভালোবাসে কত,
মাকে না দেখতে পেলে কষ্ট হয় আমার
তুমি কি জানো না?
সব কিছু বন্ধ করে দেবে কেন?
তুমি এমন কেন?
আচ্ছা তা নয় হলো--- যে কতগুলো বন্ধু আমার,
কত পরিচয়, কত ঘর কত ভালো লাগার জায়গা
এসব কারো কাছে ফিরতে দেবেনা তুমি।
এতকিছু জেনেও তোমার কাছে যেতেই হবে আমার।
তবু এই স্বর্গের দুয়ার থেকে ফিরেই আমি আসি
তোমার কথা মনে করে।
কত কিছু গোছানোর আছে তোমার কাছে যেতে
তবু সব কিছু বোঝার আগেই তোমায় চলে আসতে দেখি হঠাৎ।
তুমি মাফ করবেনা জানি হে মহা-দাম্ভিক-ঘুম!
তবু তোমার কাছে আমার একটাই শর্ত,
"আমার পবিত্র মুখেই যেন তুমি ঢেলে দাও
তোমার সেই মহাচুম্বন-বিষ"।
*সেপ্টেম্বর ২০১৫