ধুতরার বীজ ঠোঁটে ড'লে আমার
কাব্যলক্ষ্মীরে চুমু খেয়েছি---
পুরোনিঃশ্বাসে নিঃশব্দে চেটেপুটে
তেতো বানিয়ে ফেলেছি একদম---
  তাঁর মহাপ্রয়াণে বিশ্বাস ছিলনা বলেই...

ওই নিঃশ্বাসে কাব্যলক্ষ্মী এলেন
উজাড় ফোয়ারা রাতের পোষাকে;
বসলেন পাশে আমার ।
সাদা-নীল আলোর সংমিশ্রণে
তাঁর নীলগাউনের রঙ
ছলকে পড়েছিল আমার সাদা কাগজের শরীরে।
আমি চোখ তুলে দেখেছি ।

তাঁর নাকে-মুখে-চোখে-গালে
  মাদকতা নেই এখন আর,
চোখের চাহনী ছিল সাপের মতন পেচালো।
ওই নিঃশ্বাসের পর এখন
ভ্যাপসা-আঁশটে গন্ধটাও নেই।
তিতকুটে যা আছে,
তাও গলার নিচে চালান করে দিলেই অমৃত।
তাঁর শরীরের কথা আর কেউ নাই জানুক।

কাব্যলক্ষ্মী এলেন,
বসলেন তিনি,
দেখলেন,
গাইলেন,
শুনলেন!
তারপর, ব্যাস্ত হয়ে উঠলেন;
তিতকুটে অমৃতের স্বাদ--- যায়নি তখনো।


১৯.১০.১৫
ঢাকা।