তার অর্চনার গান শুনেছিলাম আমি।
আমার জানালার কৌতুহলী পর্দা কেঁপে উঠেছিল---
জানিনা কি উৎসারণে;
দেউড়ি পেরিয়ে আমি তার অন্দরে ঢুকে পড়েছিলাম।
ধ্যান ভাঙাতে চাইনি।
জানতে চাইনি কি ছিল তার গানে।
জোড়-হাতের তালুতে তার--- কি যেন রৌশনীর ফলক।
চোয়ালের কাছটা জ্বলে উঠছিল
ফিনকি দিয়ে দিয়ে বিজলীর মতন।
তার গান ছিল প্রার্থনা; স্রষ্টার কাছে।
আমি তার প্রার্থনার ভাষা বুঝিনি।
বড় কৌতুহল হয়েছিল তার প্রার্থনা হয়ে দেখতে।
গান যখন থামলো, তখন আমি সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত...

এতবছর পর আজ,
যে আমার কপোল ছুঁয়ে লজ্জা পেল,
তারে নিয়ে প্রার্থনায় বসেছি।
ভয় হয় সেই বিজলীতে জ্বলে যাবো না'তো!
কিন্তু এ কী!
এ তো আমিই বিজলী...



০৭.১০.১৫
ঢাকা।