কোথায় যেন কার চোখে বাদামী-বিধু'র ওপারে
খুঁজেছি মুন্নির মতো চোখ অবিকল;
হিমাংশু সজল হয়েছে সন্যাসী-কবির দরবারে
আজও সে অক্ষিকোটর নির্লিপ্তে রয়েছে বিরল।
বিভোর গভীর ঘোরে গোপন-প্রেমিকের
রজনী অস্থির কাটে ধুলো জমেছে শয্যায়,
হারানো শঙ্খিণী কি যায় পাওয়া ফের?
যে মিশে ছিল অস্থি-মজ্জায়!
বৃষ্টিরা কান্না চিনেছে ধুয়ে-মুছে নিয়ে
দিয়ে যায় শীতল শান্তনা,
আমি রাতের মায়ায় কত রয়েছি হারিয়ে
শুনেছি স্মৃতির বন্দনা।
স্তবক শেষে আরেক পাতায় পাতা-পাতা করে
লেখা শেষ হয় পুরো বই
সব খানে দেখি স্মৃতি সুধু--- হায় তাহারে
জানিনা যে পাবো কই?
কাকের চক্ষু ম্লান হয়ে যায় ঘোলাটে নদীর
জল শুষে খায় কোকিলের সুর,
সব কিছু দেখি এ সবুজ কবিতার শরীর
তোমার হাহাকারে ভরা বিরহে কাতর।
কত বলি তবু শেষ হয় না'কো আমার এ বলার
পালার পরে পালা কেটে যায়।
সুধু চোখই খুঁজেছি তাই-ই পাইনি আর
বাকি সব তো জানি খোঁজা বৃথাই।
২৮.০৮.১৫