সব শালারা-ই বাটপার
কাজী আলম ভূঁঞা
---------------------
কাজে গেলেই বোঝা যায়
সব শালারা-ই বাটপার
স্বার্থ ছাড়া কেউ কখনো
চায় না কিছু দেখবার।

যেই অফিসেই কাজে যাই
দালাল বাটপার ভরপুর
ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে না
সব অফিসেই ঘুষখোর।

ঢাকা থেকে মিথ্যা বলেন
আছেন তিনি চট্টগ্রাম
ঘুষের টাকা হাতে পেলেই
দ্রুত তিনি করেন কাম।

মিষ্টি মধুর কথা বলে
মক্কেল দেখে ধরে
নিজ স্বার্থকে হাসিল করে
ক্রমে ক্রমে সরে।

ড্রাইভার হলো বড় বাটপার
সবাই তাহা জানে
মিথ্যা- ই তাহার রুজি পুজি
সত্য কি আর মানে?

ট্রাফিক পুলিশ আইনের বাটপার
গাড়ি দেখলেই ধরে
এইটা ঐটা কিছুই ঠিক নেই
মাল দিলেই ছাড়ে।

এক লক্ষ লেনদেন করলে-ই
এন আই ডি চায় আগে
হাজার কোটি যে পাচার করে
ব্যাংকারের কী বাপ লাগে?

মিস্ত্রি হলো বড় ফাজিল
কথার নাই ঠিক
উল্টাপাল্টা বিল বানিয়ে
হাসে ফিক ফিক।

জেলে বলে তাজা মাছ
নিয়ে যান স্যার
রান্না মাছের দুর্গন্ধ পেয়ে
ধ্যান এসেছে তার।

মেকার হলো প্যাচের বাটপার
সবার আছে জানা
ভালো জিনিসকেও নষ্ট করে
নিচ্ছে জরিমানা।

জন্ম সনদ ও এনআইডিতে
ভুল ধরে যে বেশ
সংশোধনের হয়রানিতে-ই
ভিসার মেয়াদ শেষ।

বিদেশ নিবে চাকরি দিবে
দালাল নিয়েছে টাকা
তার পরে আর সন্ধান নাই
ভাগছে বাটপার ঢাকা।

ভূমি অফিস ও বিআরটিএ
আদালতের কাজ
ঘুষ ছাড়া যে ফাইল ধরে না
নেইতো শরম লাজ।

অডিটরদের ঘুষ না দিলে
পেনশন গিলে খাবে
গণধোলাই দিতে পারলে
ভালো হয়ে যাবে।

রাজনীতিবিদ চাপাবাজ
মিথ্যা আশ্বাস দেয়
তারা শুধু নিতেই জানে
ক'জনকে কী দেয়।

ঘুষ বাণিজ্যের দরবার করে
মাতাব্বর বলে তারে
ন্যায় বিচার করে না তারা
নিরীহরাই মরে।  

সাংবাদিকের কাজ হলো
সত্য প্রকাশ করা
অর্থ লোভে পড়ে তারা
দুর্নীতিতে জড়ায়।

টাকা পাবো টাকা দিবে
দেয় না শুধু ঘুরায়
উচিৎ কথা বলতে গেলে
উল্টো আরও শাসায়।

সমন্বয়করা হলো সেরা বাটপার
দুর্নীতিতে খাবে ধরা
ভিমরুল চাকে ঢিল দেওয়াতে
পালানোর পথ পাবেনা তারা।

কথা কাজের মিল নাই
হয়রানি আর হয়রানি
ইচ্ছে করে সব বাটপারের
কানে মারি চটকানি।

সকল অন্যায়ের প্রতিবাদে
করতে হবে আন্দোলন
জনসাধারণ রুখে দাড়ালে
সব বাটপারদের হবে মরণ।
--------------------------
রচনাকালঃ ১৭ মার্চ ২০২৫ খৃঃ
স্হানঃ সানকি পাড়া, সদর, ময়মনসিংহ।