ঐতিহাসিক নেত্রকোণা
কাজী আলম
----------
নেত্রকোণার ছেলে আমি কেন্দুয়া আমার থানা,
আমার কবিতা টি পাঠ করিলে তথ্য হবে জানা।
রোয়াইল বাড়ি ইউনিয়নের রাজনগরে বাড়ি,
বিশাল বড় খেলার মাঠে ফুটবল খেলতে পারি।
রোয়াইল বাড়িতে দুর্গ আছে পর্যটকের হিড়িক,
মাটি খুঁড়ে মসজিদ পেলো ইট-পাথরের ঝিলিক।
নিয়ামত বিবির সুরঙ্গ আছে বিশাল বড় দিঘি আছে,
ইট-পাথরের টিলা খুঁড়ে রহস্য সব মুছে গেছে।
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের কুতুবপুরে বাড়ি,
কুদ্দুস বয়াতি গান গায় লোকসংগীত আর জারি।
মদন থানার উচিতপুরে মিনি কক্সবাজার,
পর্যটকরা নৌকায় চড়ে সময় কাটায় মজার।
সোমেশ্বরী নদী আছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তে,
দুর্গাপুরে ঘুরে আসুন থাকবে না আর অজান্তে।
জানা আছে? ভারতের মেঘালয়ে গারো পাহাড় জেলা,
দুর্গাপুরের সীমান্তে সোমেশ্বরী নদীতে আনন্দে কাটে বেলা।
রঙ-বেরঙের মানুষ এসে দেখায় কত বাহার,
পর্যটকদের আকর্ষণ দুর্গাপুরের চিনা মাটির পাহাড়।
হরেক রকম মানুষ এসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখে,
গবেষণা করে তারা দুর্গাপুরের বিজয়পুর লেকে।
খালিয়াজুরী হাওড় এলাকায় একটি ফসল ফলে,
বর্ষা আসেলে তলিয়ে যায় ধান নিয়ে যায় জলে।
কান্দা জমি কে হলুদ করে সরিষা ফুল ফুটে,
কৃষকগণের মুখে তখন আর্থিক হাসি জোটে।
প্রেসিডেন্ট বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের কেন্দুয়া থানায় বাড়ি,
তিনি সৎ মানুষ ছিলেন তাই সবাই সন্মান করি।
সাবেক সরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের উন্নয়নের জোয়ারে,
নৌকার স্হলে গাড়ি চড়ে মদন থানার হাওড়ে।
মদনপুরে মাজার আছে সবাই কী তা জানে?
ওরসে অগণিত মানুষ আসে মোরগ-খাসি আনে।
প্রচুর পরিমাণ দেশীয় মাছ হাওড় থেকে ধরে,
খাওয়ার পরেও রপ্তানি করে শুকিয়ে রাখে ঘরে।
নেত্রকোণার বালিশ মিষ্টি এক কেজি ওজন,
ঐতিহ্যবাহী এই মিষ্টি খেয়ে খুশি হয় স্বজন।
ভাটি অঞ্চল নেত্রকোণা দশটি থানা নিয়ে,
অদেখা ভূবন দেখে আসুন পরিদর্শনে গিয়ে।
-----------------
রচনাকাল: ১৪-১২-২০২৪ ইং
স্হানঃ সানকী পাড়া, সদর, ময়মনসিংহ।