নির্বাচনী ইশতেহারে কথা দিয়ে ছিলেন... ঘরে ঘরে চাকরি দিবেন এবং দশ টাকা কেজি চাউল দিবেন...
মাস্টার্স পাস করা বেকার যুবকেরা বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বছরের পর বছর নিরবে কাঁদছে...!
রিকশাওয়ালা সাহেদ আলী, দশ টাকা কেজি চাউলের অপেক্ষায় হাসপাতালে আজও কাতরাচ্ছে!
জনপ্রতিনিধি, ভোটের আগে কথা দিয়েছিলেন :
গ্যাস-বিদ্যুৎ,পানির সকল সমস্যা সমাধান করবেন।
বাস্তবতা : গ্যাস, এর স্বপ্ন শেষ!
পার্শ্ববর্তী বন্ধুর উপহরের ফারাক্কা বাঁধ ছাড়ার দেশের একাংশ তলিয়ে যায় তাও জানি।
বিদ্যুৎ ? হা: হা: স্বপ্নে আসে আর বাস্তবে যায়।
তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ।
তবুও বিদ্যুতের নেই কোন খোঁজ, আলো অন্ধকারে মাঝে হয়ে যায় নিখোঁজ!
রাস্তার করুণ দৃশ্য! নতুন যানবাহন ও হয়ে যায় অদৃশ্য।
মুমূর্ষু রোগী কাঁধে করে নিতে হয় হাসপাতালে, গন্তব্য পৌছার আগেই রোগী মরে অকালে।
শপথ করেছিল...
সন্ত্রাস দমন, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি এবং মাদক মুক্ত,
দেশ গড়বে প্রশাসন..!
কোথায়? কই?
আজও দেখছি রাস্তার মোড়ে মোড়ে চাঁদাবাজি, শহরের জমি ক্রয় বিক্রয়ে চাঁদাবাজি, দালান-কোঠা তৈরিতে নিয়মিত ঠেকবাজি।
কিশোর গ্যাং আর বকাটে যুবকেরা, বড় ভাইর ইন্ধনে, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অন্যায় ভাবে করছে যা ইচ্ছে তাই...!!
এইতো ক'দিন আগে কুমিল্লার নেশাখোর, তৃতীয় শ্রেণীর শিশু বাচ্চাকে করেছে ধর্ষণ, তাতেও নেশা হয়নী, অবশেষে তাকে করেছে রোমহর্ষক খুন।
সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন? অপরাধ দমন যদি না-ই করতে পারে, তাহলে কীসের প্রয়োজন? এই প্রশাসন?
বাদশা মিঞা, ধারের টাকা দিবে বলে কথা দিয়েছেন, আজ নয়, কাল। যুগের যুগ এভাবেই পার করছেন... ভুক্তভোগীর দিনকাল!
অবশেষে,পাইকুড়া বাজারে একটি ঘর নির্মান করেছিলাম। ব্যবসা করে কিছু আয় রোজকার করে অন্তত পরিবারের হাল ধরবো বলে। তাও পারছিনা! কারণঃ
শাটার গুলো লাগাবে লাগাবে আজ নয়, কাল!
এভাবেই একটি বছর করেছে লেট,
সুনামধারী শাটার মিস্ত্রি, সেও ছিল ক্লাসমেট!!
কে করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ?
কোথায় শপথধারী প্রশাসন? কোথায় আইনের শাসন?
কেউ কথা রাখেনি। তাই আমিও পারলাম না!