সুখের সন্ধ্যানে সারা পৃথিবী ঘুরে
জগতের যত নরম ছুঁয়েছি যতনে
কত আদর ভালোবাসা দিয়ে-
আপন হতে চেয়েছি কতজনার!
কই কোত্থাও কারো কাছে সুখ মেলেনি
সুখের আশা দিয়ে কেউ সুখী করেনি-
অতঃপর হতাশ হয়ে পড়লাম!
ছেড়েই দিলাম সুখের আশা, কিন্তু...
আমার মন সে অশান্ত! কি দোষ তার?
সুখের ফেরি করতে গিয়েছি কত বাজারে
কত জনার নরম হাতে স্বপ্ন বিলিয়ে
সুখের আশায় হৃদয় সপেছিলাম সরল বিশ্বাসে
কিন্তু কই?
সুখের আশা'তো, কেবল আশাই রয়ে গেলো,
কোত্থাও কারো কাছেই সুখ মেলেনি-
বরং দেখেছি মানুষের নির্মম স্বার্থপরতা।
অবশেষে আজ একা হয়ে গেলাম
ভাবলাম, জীবন মূল্যহীন!
সুখ.... এ'তো মরিচিকা!
এর পেছনে ছুটে যা পেয়েছি তা কেবলই হতাশা!
এইসব অবহেলা সইতে সইতে যখন আমি নির্বাক
ঠিক তখন, ঠিক তখন মনে হলো-
"সুখের ঠিকানা ছিলো"!
যাকে কখনোই সুখ মনে করিনি বরং-
সুখের এই পবিত্র জায়গাটাতেই ছিলাম স্বার্থপর।
বুঝিনি পৃথিবীর সব'চে সরল পবিত্র সে সুখ আছে,
আছে শুধুমাত্র একজনার ছেঁড়া আঁচলে!
যাকে স্বেচ্ছায় সবটা সময় করেছি অবহেলা
যে ছেঁড়া আঁচলটাকে কখনোই সুখ মনে করিনি
কখনোই তো ভাবিনি-
কখনোই ভাবিনি পুরু দুনিয়া ভুলে যেতে পারে!
কিন্তু,
কিন্তু একজন'তো আছে, ছিলো!
যে কখনো ভুলে যান না, ভুলেন না।
সব হারিয়ে আজ যখন নিঃস্ব আমি
হতাশ মনে যখন ফিরলাম-
ঠিক তখন সে ছেঁড়া আঁচল আমায়-
" আশ্রয় দিলো"!
দিলো, ভালোবাসা এবং সান্ত্বনা।
অতঃপর পয়ত্রিশ বছর শেষে-
এসে বুঝলাম,
পৃথিবী স্বার্থপর, পৃথিবীতে সুখ নেই!
না, পৃথিবীর কোত্থাও এমন সুখ নেই,
যেরকম সুখ আমি খুঁজেছি!
আর সে সুখ আমি খুঁজে পেলাম,
খুঁজে পেলাম সব হারিয়ে, অবশেষে-
একমাত্র আমার মায়ের ছেঁড়া আঁচলের ভাঁজে।
মা'ই পৃথিবীর একমাত্র সুখ, যে সুখ-
আমরা চিনিনা, বুঝিনা, যখন বুঝি-
তখন অনেক দেরী করে ফেলি,
আমাদের সুখের রাণী আমাদের "মা"
যে মা'কেই হয়তো আমরা করি সব'চে বেশী অবহেলা।