কালের চক্রে মহা-কাল ঘুরে
চোখের ফ্রেমে স্বপ্ন বুনিস?
অযথায় হেয়ালীতে খোয়ালী ফল
নিভাতে কি দমাতে এতো ছল?
আমাকে দমানো এত কি'রে সাহষ?
আমি কালে কালে মহা-কালে
ফিরিবো নব্য রূপে, মহানানন্দে-
জগতের বুকে আমি এক কাল পুরুষ।
কতকরে তোর/তোদের খেয়াল
মোরে দুষিতে তূষিতে গড়িস ছলনার দেয়াল!
কত বাঁধা যত ধাঁধা সবই তো বৃথা
তবু আরো ফাঁদ পেতে থাকিস কি ছলে?
ললাটের টলে ছন্দ সে টলমলায়-
এ'যে হুরের রূপে আসে যুগে যুগে
আমাকে দমাবি? এত কি'রে সুখ তোর?
দমে যাবি নিজেই তুই, আমি'তো ছন্দ-পুরুষ।
খুব'তো হলো এবার নিজেরে দেখে
আপনার যত্ন নিয়ে ভুলে যা রোশ
তুই কি! আমি কি! এসবই বিধির খেলা
অহেতুক ক্রোধে থাকিসনে রে হিংসুট!
এ দুনিয়া দু'দিনের; কবে যে যাবি মুছে;
সে অংক কষলে দেখবি জাগিবে হুশ!
নিজেরে দমিয়ে যদি মানুষ হতে না পারিস-
তবে আমারে দমানো এ ভুলে যা, খামোশ।
সাত-সাত'শো নরক জ্বালা লয়ে যে বুকে
প্রেমিকার বিষ হজম করিতে হেসেছে সুখে
ছলাৎ অভিনয়ে সরলে গরল সিদ্ধিত হয়;
বুকের কূয়ায় লাভা চাষ করিছে নিরবে!
নাগিনীর বিষ প্রলয় পারেনি দমাতে,
আর তুই/তোরা-
কি মন্থনে অবুঝ আছিস আবালের দল?
যারে প্রজ্ঞাময় লালিছে চিরকাল, তারে খুনীতে-
এতো আক্রোশ? ওরে শয়তান ওরে জন্তু-
মোর প্রিয়ার কাছ থেকে কিছু ছলা শিখে নিস-
তারপর দেখিস যদি পারিস কিছুটাও দমাতে-
তবে তোর স্বার্থক না হলি কলঙ্কে তুই'তো অ-পুরুষ!
যুগে যুহে মহা-যুগে আমি এক অভিন্ন কাল-পুরুষ।
যে অগ্নি জ্বালায় সূর্য পুঁড়ায়, তাপায় বিষ-তান
দিনের শরীর ঘামায়ে আনে শান্তি সীমাহীন!
এই মহা-কাল দাফিয়ে যে তুচ্ছ নরক কাপায়-
তার তরে তোর ক্রোধ অতি কি উচ্ছ? ও অতি তুচ্ছ,
যে- অজগরের লেজ নিয়ে রাতে দিনে খেলে যায়,
সমুদ্রের উরুতে হয় কাল-ফনি, ঘুর্ণী তান্ডবে-
লোকালয় চুষে যায়; তারে নারে দমানো সহজ-
সে'তো যুগে যুগে আসে মহা বিপ্লবে, উন্নত বীর-পুরুষ।