(উৎস্বর্গ: স্নেহের ছোট ভাই মরহুম মোঃ সফিকুল ইসলাম রুবেল কে)

বিভক্ত
এ আর আলম

কাঁদতে ভুলেছি, চাইলেও কাঁদতে পারিনা,
তবু কাঁদি..
কান্না আমার চিরসাথী;
না, আমি লোক দেখানো কান্নায় নাকে চোখে কাঁদিনা!
বিভক্ত সুখের মর্ম বেদনায়, হতাশায় প্রতিদিন, প্রতিনিয়তই কাঁদি,
না, আমার কাঁন্না কেউ দেখেনী, আমার কাঁন্নার আঁওয়াজ কেউশুনেনী,
কাউকে শুনাতেও চাইনি, কখনো-কোনদিন, কোন মুহুর্তেও না..
আমার আমি, আমাকে নিয়েই কাঁদি।

আমার কান্নায় প্রেম নেই, আমার কাঁন্নায় নেই বিরহ,
আমার কান্নায় নেই প্রিয়ার জোৎচুরির অভিযোগ,
আমার কান্নায় নেই অর্থ বিলাসের ভিন্ন সুযোগ,
আমার কান্নায় আছে বিভক্ত সম্পর্কের চিরায়িত শোক!
দেখেছি করুন মৃত্যু কিভাবে আলাদা করে দেয় রক্তের সম্পর্ককে!
দেখেছি কিভবে মাটির ঘরে শুইয়ে পাষানের ন্যায় মাটি চেপে..
প্রিয় ভাইকে মাটিতে মিলিয়ে, আকাশে তাকিয়ে দেখেছি তার শুন্যতা।

আমার কান্নায় জল থাকে না, থাকে বুকফাটা আর্তনাদ,
আমার কান্নায় থাকে অস্থিরতা, নীল নদীর মত কিনারাহীন!
আজো পারিনী নদীর মত জীবনের ঢেউগুলোর মোকাবেলা করতে,
পারিনী স্থীর হয়ে অস্থীর জীবন সাজাতে,
আমি যখন হাসতে থাকি তখনো কাদি,
যখন খুব একা থাকি তখনো কাঁদি,
আবার গভীর রাতে হতাশার কাছে ঘুম চেয়ে কাঁদি...
আমার ঘুম হয়না, ঘুম আসেনা,
বোবা কাঁন্নার কাছে ভীষনভাবে পরাজিত আমি...
শুধু কাঁদি।

মৃত্যুর কাছে জীবন চেয়ে কাঁদি,
জোৎস্নার কাছে স্বপ্ন চেয়ে কাঁদি,
চোখের কাছে অশ্রু চেয়ে কাঁদি,
দুর্ভাগ্যের কাছে ভাগ্য চেয়ে কাঁদি,
আলোর কাছে আধারের জন্য কাঁদি,
আমার কান্নাগুলোরজন্যও আমি কাঁদি।

আমার কাননাগুলো আমার,
এক সাথে পথ চলি,
বিভক্ত সম্পর্কের বিচ্ছেদে,
গভীর হতাশয় মুখ লুকিয়ে কাঁদি,
শুধু কাদি......

০৯-০৯-১৩ইং, ঢাকা।

(কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় "ঝরা ফুল" যৌথ কাব্যগ্রন্থে, পরবর্তীতে একক কাব্যগ্রন্থ "আকাশি" তেও প্রকাশিত হয়। এখানে একটি বইয়ের নাম সিলেক্ট করা যায় বিধায় একক কাব্যগ্রন্থ "আকাশি" উল্লেখ করলাম, ধন্যবাদ সবাইকে)।