বেলা শেষে-
এ আর আলম
কতবার ডেকেছি তোমাকে নাম ধরে..
কতবার বলতে চেয়েছি তোমাকে,
এই আমার আকুতি...
ভুলতে গিয়ে ভুলেছি সমস্ত-আপনা
তবু ভোলা হলোনা তোমা-সঞ্চিতি-
বিরহ দাবানল এ যে যন্ত্রনা, এ যে ভয়াবহ অগ্নি--
ভয়ংকর হাসিতে হেসেছে বিকৃত দগ্নি ।
তব হাসিমালা তোমরে ঘিরিয়া,
যদি ভাল থাকো হে--
তব আনন্দখানি তোমারে ঘিরিয়া,
যদি ভুলে থাকো হে--
তোমার অনলে, অতলে, তোমাতে চিরচেনা..
ক্রন্দন সেও হয়েছে সংখবিলাসিনী, পুর্তে আরাদনা-
অবসরে করি সময়ের হিসেব, জীবন পিছিয়ে গেছে-
আলোতে আধার এসে ভিন্ন রঙ্গে মিলিয়ে,
তর্ক গুছে---
পরিচিত প্রিয় পরিচেনা, অবসরও তোমাতে---।
আমি ধৃষ্ট অষ্টে, পৃষ্ঠে নবরানী, তিক্ষ্নদৃষ্টি আমার,
সর্প, অতর, গীত্রগোত্রে, নৈতকত্ব, ভুলস্বচ্ছনদ্র একার-
হে পথিক, অস্ত যায়-
ঘুরে দেখ পিছনের অতীত-
বেলা শেষেও বুঝি নিয়ন্ত্রন তোমাতে
প্রিয় বাসরী।
আজ বেলাশেষে অ-বেলার গপ্প,
সে বিমোহীন বাজা ক্রন্দন-
ভগবান সৃষ্টসৃষ্টিরে সৃজিল সাজানো প্রকৃতিকুল,
আর স্বাক্ষী নিলায়ম্বর, চন্দ্র, সুর্য, গ্রহফল।
আমাতে মিশিয়া গিয়াছে কত যন্ত্রনা, আমি অর্তে,
প্রিয় শংঙ্খ, তোমাতে তোমারে চিরচেনা-
আজি অ-বেলায় চলেছি, নিজেরে খুজিতে।
ভগবান, হে ভগবান প্রিয়লয়ে-
আজি জানিবার কতকর্থ নবনীর-দ্বার..
উষ্ঠে, তরান্বিত পৃষ্ঠে, লোভনী, চির-শয়তান;
বলকেভাসি জলজ্বরমনী, ধরাহানা সাপুড়ি-
বিষে-বিষাক্ত, মরি মরি, তবলীলা, প্রাণ-মম-যায়!
উষ্ণ, অর্ত, কস্কাঙ, মর্ত-নাগিনীর মিথ্যে প্রলয়;
তবতারে ক্ষমা-কর মালিকিয়া ক্ষমাবান-
ভগবান, জগদীশ্বর, ইশ্বর, রম-রহমান।
জীবনত্বর পৃষ্ঠে, পৃষ্ঠে মরিয়শ্বর যন্ত্রণা-
ভিষমত্বরণ, সয়েছি সয়েছি-
যবে হয়েছি নিপীড়ত্বের বঞ্চনা।
বেলাশেষে তাই তোমাতে মধুরণী, স্বরর্তন,
অবেলার একখানি গপ্প-লপ্প লিখে যাই--
প্রিয় সঞ্চিতি...........
৩০ জুলাই, ২০১৩ইং