ইদানিং সন্ধার পর পালাকরে একচোট ঝড় হয়
সুখের ভেলায় চড়ে মেঘের মতো উড়ে ঘুম চলে যায় দূর আকাশে।
কল্পলোক হতে প্রিয়ার চোখে তখন ভর করে রাজ্যের ঘুম
লজ্জায় অবনত মস্তক এলো চুলে ঢাকা চোখ
কেমন করে দেখব তার মায়াবী চাহনি।
ঠোঁটের কোনে লুকিয়ে থাকা লাজুক হাসির ছন্দে
বুঝে থাকা দু’চোখের টানা টানা ভ্রুর দিকে
তাকিয়ে থাকি এক ধ্যানে
মাটিতে তিক্ন দৃষ্টি রেখে আকাশে উড়ন্ত
ক্ষুধার্থ বাজ পাখির মতো
কালবৈশাখী হয়ে আছড়ে পড়ি ভাসিয়ে দেয় সুনামি।
আমার বাম বাজুতে মাথা রেখে যখন ঘুমিয়ে পরে
তখন চেয়ে দেখি রেখে যাওয়া ঝড়ের তান্ডব দৃশ্য
ঘুমিয়ে আছে স্বপ্নলোকের চাদরে মোড়ানো
তুলতুলে নিষ্পাপ শিশু।
নিশ্চিন্ত অঘোর ঘুমে প্রতি নিঃশ্বাসের শব্দে
তার বুকে নীরব ঢেউ বয়ে যায় অনন্ত দোলনায়
অপরূপ রূপের ভিড়ে না বলা কথাগুলো বলে যায় মনে মনে
একের পর এক মালা গাঁথি বিনিশুতায়।
অক্লান্ত পথে নিঃস্তব্ধ রাত্রে রঙ্গিন আলো আঁধারিতে
আমার চোখদুটো আমাকেই খুজে পায় এক নতুন আমিকে
প্রেয়সীর লাজুজ লাজুক চোখের ভাষায় মিলিয়ে যাই অনন্ত চুঁড়ায়
একপসলা বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় . . . বার বার অবিরাম।