আমার আজিকে মনে পড়ে
ছোট বেলার সেই স্মৃতি
যখন চলত ব্রহ্মপুত্রে অবগাহণ।
ঝাঁপাঝাঁপি,সাঁতার কাঁটা আর মাছ ধরা
বড়শিতে সুতো পেঁচিয়ে আঠা কিংবা কেঁচো।
রোদে পুড়ে,বৃষ্টিতে ভিজে বড়শিতে মাছ ধরা
কত্ত যে মজার তা ভাষায় বোঝানো ভার।
রাখাল বালকের ন্যায় গরু চড়ানো ,ঘাস কাটা,
ক্ষেত নিড়ানো কত যে মজা! মিস করি তা জানো?
মনে পড়ে পাট ক্ষেত নিড়ানোর সময় দাদাদের
ভাওয়াইয়া,ভাটিয়ালী গানের মধুর কন্ঠ।
মনে পড়ে আজিকে বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে
স্নান ,তা কত যে মনে দোলা দেয় !
লাটিম আর ঘুড়ি উড়ানোর মজা কেউ কি
কখনো পেয়েছে গ্রামে দস্যি ছেলেদের ন্যায়?
মনে পড়ে ফুটবল খেলার কথা;
এত নেশা!এত প্রিয়!
আওয়াজ শুনতেই ঢাস ঢাস ঢাস...
দেরি নেই যেতে ফুটবলের মাঠ।
স্মৃতি থেকেও মুছে যায়নি
চার পাঁচ কিলো হেঁটে হাই স্কুলে যাওয়া
ক্লাসের সবচে ছোট; ক্লাস নাইনের কথা।
মেট্রিকে ফাস্ট ক্লাস দুই হাজার সাল
ভুলতে পারি না বন্ধুদের অবদান।
সাইদুর, জং,জয়নুলেরে মিস করি
চলার সাথি মোর নিত্যদিনের
লেখায় মিস কামরুজ্জামান।
মোল্লা স্যারকে বিনীত শ্রদ্ধা জানাই
আজিকে তাহাকেও মনে পড়ে হায়!!
সবচেয়ে শ্রদ্ধা জানাই শ্রদ্ধা ভাজন খান
আমার জীবনে যার জুরি নাই,তুল্য নাই।
ভালোবেশে কাছে টেনেছিল যার নিষ্টা,
চেষ্টা,সাধনার প্রতিরুপ,প্রতিবিধান।
কাছে পেয়েছিলুম নি:স্বার্থ রেজাউল
বন্ধুতুল্য চাচাজান, পাশের প্রতিবেশী।
আজিকে তাহাকেও মনে পড়ে খুবই খুবিই।
অবশেষে স্মরণে আসে আল্লাহ প্রেমিক,
দ্বীনি ভাইদের কথা; বুদ্ধি দিয়েছেন
ভালোবেসেছেন যারা -আল্লাহর তরে।
তাদের স্মরণে দোয়া করি প্রভু ;ঠাঁই দিয়ো ঠাঁই
জান্নাত দিয়ো তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম যাদের
ত্যাগ তিতিক্ষা আর পরিশ্রমে তিলে তিলে
গড়ে উঠেছে এ ভুবন আমার।