আমাদের দেশের সবাই কবি কিংবা শিল্পী৷
এমন কেও নেই যে, নিজের ইচ্ছায় একটা কবিতা লেখার চেষ্টা করেনি কিংবা একটা গানে সুর ধরেনী৷
আমি দেখেছি- গ্রামের বাড়িতে অলস দুপুরে পুকুর ঘাটে বসে অনেকে গান গায়৷
মাঠে কিংবা মাঠের পাশে গাছের ছায়ায় বসে রাখাল গান গায়৷
কাজের ফাঁকে ফাঁকে, অফিসের অবসরে অনেকে গান গায় কিংবা দু-এক কলম লেখার চেষ্টা করে৷
আগেকার দিনে মা-চাচির মুখে গান শুনতাম, ঢেকির গান কিংবা ঘুমপাড়ানি গান৷
এখন আর শুনা যায় না৷
আগেকার দিনে পাড়ার বড় আপু'দের হাতে তৈরী রুমাল দেখেছি৷
নকশি সুতা আর সূই দিয়ে ফুটিয়ে তুলতেন ছন্দ্র কিংবা মূল্যবান বাক্য৷
আজ আর তা নেই, সব মিডিয়া কেরে নিয়েছে৷
আমারও সপ্ন ছিল সাহিত্যিক হওয়া৷
কিন্তু পারলাম কই৷ দায়িত্ব আর কর্তব্য এসে শক্ত হাতে ধরে রাখলো৷
এর চাপ যখন বাড়তে লাগলো- তখন চাকরী জীবন শুরু হয়ে গেল৷
দিনে ছয় ঘন্টা কাজ করে সপ্তায় একদিন ছুটি নিতাম৷
দায়িত্ব যখন আরেকটু বেড়ে গেল তখন আট ঘন্টা কাজ৷
তার পর এক সময় দশ ঘন্টা হয়ে গেল৷
আর বর্তমানে বার ঘন্টা কাজ করতে হয়৷
এমনও হতে পারে- দায়িত্বের চাপে পরে সপ্তাহের ছুটির দিনটাও হারিয়ে যাবে৷
তবুও আমি সুখী কারন, দু-একটা কবিতা লেখার মতো সময় আমার হাতে থাকবে৷