এসেছিলাম দুনিয়ার বুকে
জন্ম নিয়ে জননীর কোলে
সময় কেটেছিল দোলনায় দোলে
কোলে কোলে ৷

ধীরে ধীরে পা এগিয়ে
বেরিয়ে এলাম ফটকের বাহিরে
আদর করে রাখিত সকলে
অবুঝ বলে ৷

তুলে নিলাম বই হাতে
যোগ দিলাম অন্য জগতে
শিখে নিলাম ব্যঞ্জন বর্ণ
স্বরবর্ণ ৷

দের যুগ পেরিয়ে গেল
দুষ্টুমি এসে আশ্রয় নিল
মনের ঘরে জন্ম নিল
স্বপ্ন আঁকা কল্পনা ৷

গাঁ ছেড়ে দূরে গেলাম
কর্ম জীবন বেছে নিলাম
চলিতে হবে কর্ম গুণে
এ ভুবনে ৷

ললনার ফাঁদে পরিয়া
মায়ার জালে মন মজিয়া
রহিলাম সব ছাড়িয়া
দ্বীন ভুলিয়া ৷

দুই যুগ পেরিয়ে গিয়ে
সংসার জালে বন্দি হয়ে
জাটকার মতো আটকা পরি
কী করি ৷

রং তামাশায় মগ্ন হয়ে
প্রভুর কথা ভুলে গিয়ে
অবশেষে কাঁদি বসি
দিবানিশি ৷

তিন যুগে পা রাখিয়া
বন্ধু বান্ধব দূর করিয়া
ঘিরে রাখে ভবের জঞ্জালে
বন্দি করে ৷

মরণের ডাকে নেই চেতনা
সময় থাকিতে না হলো সাধনা
সু-দিন আর ফিরে পাবনা
সুমনের ভাবনা ৷

চার যুগ পেরিয়ে গেল
মরন কথা স্বরণ হলো
শেষ হয়ে এলো বেলা
জীবনের খেলা ৷

ভাবছি বসে দিবা রাতে
যেতে হবে খালি হাতে
সঙ্গের সঙ্গী কেউ নাই সাথে
একা পথে ৷

বলি সবার হাতে ধরে
দিও আমায় ক্ষমা করে
চলে যাব দুনিয়া ছেড়ে
ওপারে ৷