কোন এক তপ্ত দুপুরে,
মানবতার শরীর ছেড়ে গিয়েছিল আত্মা
ডুকরে কেঁদে উঠেছিল চালতা ফুল,
নিমগাছ, পাখি, বুনো শুয়োর সবকিছু;
শুধু কাঁদেনি মানুষ।
ক’দিন পর শরীরে পঁচন ধরলে
চোখের সামনে ছিড়ে খেয়েছিল
শকুন আর শিয়ালের দল
তবুও কাঁদেনি মানুষ!
কেউ করেনি সৎকার সে দেহের।
সেই বিভৎস্য দৃশ্য আমাকে করেছিল
জীবিত লাশ।
সেই থেকে আমি আর আমার মন
বুক ভরে নিচ্ছি অন্ধকারের ঘ্রাণ।
পাখিরা ভুলে গেছে মধুর কলরব
নগরের দেয়ালে আঁকা হতাশার চিত্র,
নারী আর ভালবেসে বাহুডোরে বাঁধেনা
কপট- শূন্য বুলিতে ভালবাসা সরব।
মানুষের নাম বদলে হয়েছে শরনার্থী,
প্রজা, মৌলবাদী আরও কত কি!
কালের কপাট খোলেনি গৃহকর্তা
শুধু জানালায় আসে শুকনো রুটি।
দু’টো শকুন চেয়ে দেখে------
কালের ধুলোয় মিশেছে মানবতার ফসিল।
বিবেক কাঁদতে পারেনা শুধু গোঙানি আসে
জীবিত লাশের নগরে মৃত লাশ ভাসে।