একালের মেয়েদের একটাই রোগ
প্রেম রোগ
ছেলেরাও প্রেম করে
কিন্তু তাদের প্রথম টারগেট অর্থ উপার্জন
মেয়েরা একটু আলাদা
তাদের জীবনের উদ্দেশ্যই যেন
প্রেম ও বিয়ে
তারপর বাকি জীবনটা
বাবুই পাখির বাসার মতো ঝুলে থাকা
পায়ের তলার মাটি শক্ত করার ইচ্ছা
দু-চার জন ছাড়া
কারোরই নেই
লাথি ঝাঁটা খেয়ে
গৃহবধু হয়ে থেকে যাওয়া
যেন বাঙালী মেয়েদের একটা ট্রাডিশন
দেখেও শেখে না
ঠেকেও শেখে না
এ এক অদ্ভুৎ মানসিকতা।
আমার এক বন্ধু ছিল ... জয়া
মেধাবী ছাত্রী
এগার ক্লাস থেকেই প্রেম করা শুরু করল
স্কুলেরই শিক্ষকের সাথে
কলেজ পার হতে না হতেই বিয়ে
কত বোঝালাম
বললাম, আগে কেরিয়ার তৈরী কর
কত ভালো ছেলের সাথে বিয়ে হবে
শুনলো না
তারপর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বাচ্চা
ছয়-সাত বছরের মধ্যেই
জীবনের রঙ ফ্যাকাসে হয়ে গেল
রোজ ঝগড়া
টাকা পয়সা চাইলেই অশান্তি
একদিন রাগ করে
বাপের বাড়ী চলে এলো
কিন্তু টিকতে পারলো না
বললো, আমি চাকরি করবো
দু-তিন বার চাকরির পরীক্ষা দিলো
কিন্তু পাশ করতে পারলো না
বুঝলো, জীবনের অমূল্য সময়টা
নষ্ট করে ফেলেছে
এখন রাঁধছে আর কাঁদছে।
শুধু একটা জয়া নয়
এরকম হাজার হাজার জয়া বর্তমান
খুঁজলে ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে
ওরা আজও বুঝলো না
মেয়েদের শক্তির উৎস একটাই
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা।