দক্ষিণে বরীচ পাহাড়ের নীচে শুস্তা নদীর ধারে এক শ্বেত পাষাণ মহল ছিলো। সেখানে সুন্দরী সল্পবসনা রমণীরা গভীর রাত্রে স্নান করিত। তার পর_______
তুলার মাশুল উসুলে ব্যস্ত আমি সারাদিন
দিবস অন্তে করি কর্মসমাপন আমি সঙ্গিণীহীন।
আসিলাম পাষাণ প্রাসাদে সামনে নৃত্যশালা
তিন সারি থামের উপর ভারী খিলান
আলো আধাঁরের মায়াজালে প্রাসাদ চকমিলান।
শুনি নুপুরের নিক্কণ,সেতারের টুংকার,ঝাড়বাতির মৃদু দোলা,
দূরে নহবতের আলাপ,বাতাসে আতরের মদিরা,
পরশে নরম দেহ সাজায়ে তাহার পসরা।
হঠাৎ হলো সভা ভঙ্গ,কেরোসিন ল্যাম্প হাতে ভৃত্য,
থেমে গেলো গুন গুন, চঞ্চল পায়ের নৃত্য।
রাত্রিকালে আরালী পর্বতের উপরে উজ্জ্বল নক্ষত্র,
আমি ক্লান্ত, শিহরিত,নিষ্চিন্ত শয্যায়ে নিদ্রিত।
সহসা জাগে শিহরণ সারা দেহে শীতল পরশে
রমণী সম্মুখে, অঙ্গুলি হেলনে চলে নিঃস্তব্ধ আদেশে,
পেরিয়ে দীর্ঘ বারান্দা,কত সভা গৃহ,কত শত কক্ষ
এ কি আরব্য রজণী,সুন্দরি রমণী,জানিনা কি তার লক্ষ্য।
থমকিলো রমণী,সামনে ঘন নীল পর্দা,নিদ্রিত কাফ্রি খোজা,
ভিতরে মখমল আসনে সুন্দর চরণ,স্পষ্ট কিছু যায় না বোঝা,
দূতী গেল ভিতরে,আমি অনুসরণে উদ্যত কম্পিত বক্ষে
সহসা জাগে খোজা, হাতে নগ্ন তরবারি,রক্তিম চক্ষে,
" তফাৎ যাও তফাৎ যাও,সব ঝুট হ্যায়" ওঠে চিৎকার,
ভোরের আলোয় চলে মেহের আলি,পাগলা পাহরাদার।
---------------(ক্র ম শ)________________