দক্ষিণে বরীচ পাহাড়ের নীচে শুস্তা নদীর ধারে এক শ্বেত পাষাণ মহল ছিলো। সেখানে সুন্দরী সল্পবসনা রমণীরা গভীর রাত্রে স্নান করিত।রাত্রে রমণী আসিয়া ডাকিয়া লইয়া যাইতো।কোন সুন্দরী কার্ফ্রী খোজার পাহারায় বন্দী আছে।কিন্তু ভোর রাত্রে পাগলা মেহের আলী সবাইকে সাবধান করিত যে সব ঝুট, তাই দুরে যাও। এর পর----------
প্রতি দিন অর্ধরাত্রে শুনি বুক ফাটা কান্না পাষাণ তলে
"লয়ে যাও মোরে বুকের কাছে ধরে" আমায় বলে,
আমি অভিভুত,অসাড় তার সুগন্ধি মাদক বেষ্টনে,
শুভ্র চরণে,নরম মসলিনের ফুলকাটা কাঁচুলি বন্ধনে।
সেদিন সন্ধ্যায় ছিলো ঘন কালো মোহময় আরালী,
দু ফোঁটা তাজা অশ্রুর ছোঁয়া,পাগল হাওয়ায় চৈতালি
শৃঙ্খলছিন্ন উন্মাদের মতোএলো সহসা ঝড়,
যেন কাঁদিয়া উঠিল বেদনায় প্রতিটি ঘর,
দেখা দিলো রমণী ভুলুন্ঠিত,আলুলায়িত কেশ,
মুক্ত বক্ষে করে আঘাত,প্রায় নিরাবরণ বেশ।
হাসিতে কান্নায় বর্ষণ সিক্ত দেহ থর থর কাঁপে,
হতবাক আমি দাঁড়ায়ে দেখি নিষ্ফল পরিতাপে।
এতো অভিমান,এতো কান্না যাহার বক্ষে
কেমনে দেয় শীতল ছোঁয়া প্রতিদিন মোর চক্ষে?
চীৎকার করে মেহের আলী,"তফাৎ যাও সব ঝুট,ঝুট হ্যায়"
দৌড়ে শুধাইলাম আমি"আলী কেয়া সব ঝুট হ্যায়"
উত্তর দিলো করিম খাঁ বৃদ্ধ চাপরাশি
"আছে এই প্রাসাদে পাষাণ রাশি রাশি
কতো অতৃপ্ত কামনা বাসনা লালসার শিখা
দফনে আছে,পাষাণের নীচে,নেই তার লেখা যোখা
পাষাণ হয়ে আছে গুলবাগের ইরানী ক্রীতদাসী,
প্রতিদিন রাতে শোনা যায় তার কান্না হাসি থাকে পাষাণ ক্ষুধিত তৃষিত
সজীব মানুষের ভালোবাসার লাগি লালায়িত।"
ক্ষুধিত পাষাণ হলো স মা প্ত।
There happens more things in heaven and earth,Horatio,than are reported.