কবিগুরুর কাহিনির কাব্যরুপের প্রয়াস_________
সুদুর দক্ষিণে বরীচ পাহাড়ের কোলে
শুস্তা নদীর ধারে এক শ্বেত মহল,
সেখানে স্নানশালায় গোলাপগন্ধি ফোয়ারার জল,
মুক্তকেশী সল্পবেশি নগ্নপদ রমণীর দল
তোলে ঝঙ্কার সেতারের তালে।
নাই সে ফোয়ারা,নাই সে স্নানশালা
পাষাণ প্রাসাদ দাঁড়িয়ে অতিতের চিত্রশালা।
কিন্তু সূর্য যায় যখন গিরিশিখরের পাড়ে,
পদধ্বনী নামে কলহাস্যে নিস্তব্ধ নদী তীরে
নিশ্চল তরঙ্গে চলে নিরাবরণ সন্তরণ লীলা,
মসলীন দেহ দ্রুতপদে চলে শব্দহীন চঞ্চলা।
প্রাতঃকালে সকলি মিলায়,মনে হয় সব মায়া,
অগভীর সচ্ছ জলে শুস্তা তেমনই শীর্ণ কায়া,
বনাঞ্চলে বন তুলসি,পুদিনা,মৌরির গন্ধে উতলা
উপরে পাষাণ মহল নিদ্রিত, নিশ্চুপ নৃত্য শালা।
(--- ক্র ম শ)