কবিগুরুর কাহিনিকে আধার করে ৩ পর্বে লেখা।
পণ্ডিত দিয়েছে নিদান,
শরৎকালের রৌদ্র আর বায়ু
তীব্র বিষের সমান,
অমলের নেই বেশিদিন আয়ু।
জানলা হলো সীমানা
বাইরে যাওয়া মানা,
পাহাড় অনেক দুরে দেখা যায়।
পথিক ক্লান্ত অচেনা
ঝরনার জলে পিপাসা মেটায়।
অমলের ইচ্ছে যাবে
পাহাড়ে উপরে অনেক দুরে,
ছাতু মেখে খাবে,
বাজাবে বাঁশী নতুন সুরে।
দই চাই দ-ই-ই-ই"
হেঁকে যায় এক দইওয়ালা,
অমল ডাকে ভাই-ই-ই
কাছে এসো ভাই ফেরিওয়ালা"।
"ডাকো কেন মোরে
না কিনবে যদি দই",
অমল বলে তারে
"আমার কাছে পয়সা কই"?
গোয়ালা পাড়ায় নদী
তাতে লাল পেড়ে শাড়ী,
জল তোলে যদি
তাদের দেখার ইচ্ছে ভারি।
দইওলার ঐ হাড়িঁ
পায় সে যদি একবার
বাবার সঙ্গে আড়ি
বেচবে দই সে চমৎকার।