আলমগীর কবীর হৃদয়
আজকাল নিজেকে বড় একলা মনে হয়
ভোরের স্নিগ্ধতা আমাকে আর মুগ্ধ করে না
দুপুরটা বড় আলসেমি দিয়ে মোড়ানো মনে হয়
সন্ধ্যাটা আগের মত রোমাঞ্চকর মনে হয় না
আজকাল সামান্য বাস জার্নিটা কষ্টকর মনে হয়
নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়- রূপন্তি,
কেন? এমন হয় বলতে পারো
জীবনের সব কিছুই আজ, দুঃখের বড় বড় ঢেউ মনে হয়
জীবনের সহজ স্বপ্নগুলো আজ খুব অচেনা মনে হয়
কেন যে আজ জীবনের হিসেব নিকাশ এলোমেলো হয়ে গেল
জানো, রূপন্তি কিছুতেই বুঝতে পারিনা
একটা সময় ছিল শতকর্ম ব্যস্ততা ও কষ্ট দিতে পারতো না
চলমান জীবন তো এমনই... তাই ভাবতাম,
এখন খুব অল্পতেই বিরক্ত হয়ে যাই
মাঝে মধ্যে আমার অধিনস্ত কর্মকর্তারা
আমার আচরণে দুঃখ পায় আমি বুঝতে পারি
কি করবো বল এখন আর নিজেকে
আগের মত ধরে রাখতে পারি না,
ফজরের সময় শেষে, কে আগে শুভ সকাল জানাবো
অথবা দুপুরে তোমার ক্লাসের ছুটিতে
মুঠোফোনের আড্ডাতে কতনা না বলা কথা বলবো
এমন ভাবনায় আর থাকতে হয়না এখন
সন্ধ্যা বেলায় এখন আর কেউ বলেনা মিষ্টি সুরে
এখনও বুঝি কাজে খুব ব্যস্ত তুমি...
জীবনে সুখের ছোয়া পেতে একটু অবসর রেখো,
আচ্ছা রূপন্তি, তুমি কি আমাকে এখনও ভাবো
এখনো মুক্তমনে হাসো, আবার মুহুর্তেই মন খারাপ করো,
জানো রূপন্তি, তোমাকে রাত জাগতে বারণ করতাম
আজ সেই আমিই রাতের পর রাত নিদ্রাহীন থাকি
এক জীবনে একজন মানুষ দূরে চলে গেলে যে
এই বসুন্ধরার সুন্দর জীবনটাই শূন্যতায় ছেয়ে যায়
আমাকে ছেরে তোমার দুরে যাওয়া সেটাই প্রমাণ করলো
রূপন্তি, সত্যি করে বলবে
আমাকে ছেরে তুমি ভাল আছো তো?