নিঃশন্ক পাথরের বুক চিরে বয়ে চলে --
সর্বভূক নদী আদি উৎস থেকে ধীর লয়ে নামে
                    মৃত্তিকার হৃৎপিণ্ড করে ছিন্নভিন্ন।
দুই নয়নের উষ্ণ সরোবরে জন্ম নেয়া --
কান্নার নোনাজলে বেহুলা ভাসায় ভেলা ,
সময়ের মস্তিষ্ক কুঁড়ে কুঁড়ে খায়
                                       দুঃখবাহী ঘুনপোকা ।
স্বপ্ন - মৃত্যুর মৌন মিছিল মুখর সন্ধ্যার স্তব্ধতায়
বুকের বাগানে অসহায় অগ্নিকান্ডে দগ্ধ জমিন,
জ্বলে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে দুঃসহ  প্রলয় বিভীষিকায়।

ক্লান্ত ডানায় পরিযায়ী পাখি নেমে আসে--
                                                  অসহ্য আঁধারে,
আগন্তুক রাতের পৌরাণিক আঁধারে
নৃত্যরত মৃত্যুর কোলাহল ভেসে আসে,
শোক- সমুদ্র সমাধির বুক জুড়ে চিৎকার করে --           একাকীত্বের কংকাল
দুর্ভেদ্য আঁধারের হাতে বন্দী ---
                                প্রাণহীন এক প্রস্তরখণ্ড আমি।
দুঃখ মোহনায় শাপগ্রস্ত প্রবাহ গভীর জলের আবর্তে
খুঁজে নেয় জন্ম জন্মান্তরের স্রোতধারা।