অজস্র কল্পনার চোখে দেখি
নিঃস্ব হেমন্তের শেষ প্রহর ,
মধ্য রাত্রির নিদহীন চোখের পাতায় কাষ্ঠ পাত্র
অদুরে হুতুম পেঁচার ডাকে -
অশরীরী আত্মারা ছুটে আসে।
জীবনের আপাত আবর্জনা ঝেড়ে
মৃদু পায়ে এগিয়ে যাই রাত্রির গভীরতা ঠেলে ,
খানিকটা হাঁটতেই সেন বাড়ি পেরিয়ে নির্জন শশ্মান
যেখানে অতৃপ্ত প্রেতাত্মারা স্বাগত জানায়,
তীব্র ধূপ গন্ধ ভারি বাতাস
অসংখ্য শেয়ালের চোখ এড়িয়ে যাওয়ার
আপ্রাণ চেষ্টা করি আমি ,
কোথা থেকে এক ঝাঁক বাদুর
কানের বাঁ পাশ দিয়ে শা শা করে উড়ে যেতে থাকে ।
ঘন ঝোপের আড়ালে কিছু একটা নড়াচড়া করছে
অমাবস্যার তীব্র আঁধারে শেয়ালের অনেকগুলো চোখ
ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে আমার দিকে,
কে যেন হেসে উঠে খিল খিল করে
হাসি আর শেষ হয় না;
অদুরে গোর খেকুর নাকি কান্না শুনতে পাই
কখনো মনে হয় নুপুর পায়ে কারা যেন নাচছে,
হঠাৎ তালগাছটা থেকে ভীষণ বড় একটা -
সাদা বক আমার মাথায় এসে বসে,
ক্রমাগত ঠোকরাতে থাকে মগজের কুঠুরিতে,
আমার ভীষণ তৃষ্ণা পায়
তৃষ্ণায় ছটফট করে জলের জন্য চিৎকার করি,
হয়তো তখনই ঘুম ভেঙ্গে যায়
চেয়ে দেখি চারিদিকে ভোরের ব্যাস্ততা।