কেন নৈঃশব্দ্যের রিক্ত হাওয়া বয়ে চলে শহরের অলিগলি ?
তপ্ত নিঃশ্বাস ভারী ভোর রচনা করে -
অনাগত দিনের পদাবলী,
ভারসাম্যের সেতু চিৎকার করে নাগরিক আতুর ঘরে!
জলজ উদ্ভিদ এর মায়ায় আচ্ছন্ন একুশ শতকের কৈবর্ত
আহ্লাদে আটখানা নিরামিষে,
দোয়েল শূন্য আটপৌরে জীবন আটকে আছে-
যন্ত্রে- যন্ত্রণায়।
এখানে শিশুর কাঁদত বারণ, এখানে শিশুর হাসতে বারণ-
সস্তা শব দেহের শহরে বহুজাতিক বিনোদনের ভীর
লালসার ধারালো শাবল হৃদয় খুঁড়ে চলে রাতভর।
মধ্য রাত্রির আলো ছায়ায় স্বপ্নের নীলামে -
বাজি ধরে মধ্যবিত্তের দল ;
আয়নায় মুখ দেখে হাসে কালো যাদুগর এ শহর
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাপড়ে ধোঁয়া খায়।
এখানে অনন্তর ধূপধুনা জ্বেলে ও ঈশ্বর থাকেন অধরা
কেন প্রার্থনার আসনে জটিল গণিত সমাধানের জটলা খুলে না?
কেন বনবিথীর ছায়ায় নগর পথিক -
চাতকের মতো খুঁজে জল?