এক.
এখানে ওখানে ঝোপঝাড়ে ঘরের দাওয়ায়
প্রায়শই আমি একটি মৃতদেহ দেখতে পাই
ক্ষেত থেকে তুলে আনা সবজির মতো
তরতাজা লাশ;
এ লাশের পচন নেই জীবাণু কিংবা কীট ধার ঘেঁষে না,
অতৃপ্ত অক্ষম জীবন যাপনে ক্ষয়ে ক্ষয়ে
কখন যে মরে গেছে টের পায়নি।
মেঘের রাজ্যে ছিল তার বিচরন
কাল বৈশাখীর সাথে বসবাস
রাজ্যের অনটনে ক্লিষ্ট
কখনো বা শাহবাগের উত্তপ্ত রাজপথে মুষ্টিবদ্ধ হাতে
বন্যা খরা আর ক্লান্তিকর অন্তহীন পথে
কখন যে আত্মা পাখি খাঁচা ছেড়ে গেছে টের পায়নি।

লাশটা ভীষণ বেয়ারা যখন তখন সামনে পড়ে থাকে
একবার খুব কাছে গিয়ে দেখি
আরে এতো আমি

দুই.
পড়ার টেবিল মেঝে চারপাশে ঘরের ভেতর
এই ঘুটঘুটে আঁধারে কে যেন নিঃশব্দে হাঁটছে!
কে কে প্রশ্ন করি উত্তর মেলে না ,
পাতা ঝরা বসন্তের মতো শব্দ
বইয়ের পাতা উল্টানো খসখসে শব্দ
কখনো বা মনে হচ্ছে টুপ টাপ শিশির ঝরছে
ভীতিকর আবহে সাহস সঞ্চয় করে প্রশ্ন করি
কে আপনি? কি খুঁজছেন?
আঁধারে ছায়া ক্ষীণ কন্ঠে বলে -
খুঁজে তো পাচ্ছি না।
কী খুঁজে পাচ্ছেন না? আমার ভয়ার্ত কন্ঠ
নড়েচড়ে উঠা ছায়া এবার ক্ষীপ্ত কন্ঠে বলে -
তোমার কবিতার খাতা দেখছিলাম
কী সব হাবিজাবি লেখা , ছিঃ  কী বিচ্ছিরি!
দ্রোহ নেই প্রতিবাদ নেই !
যতো সব মেরুদন্ড হীন কবিতা!

আমার গলা শুকিয়ে আসে ভীষণ তেষ্টা পায়
দুরের মসজিদ থেকে আযানের ধ্বনি ভেসে আসে
আচমকাই ঘুম ভেঙ্গে যায়।