ওগো মা, হাঁড় কাঁপুনি কনকনে শীতে,
পরনের পুরোনো পাতলা শাড়ীটা দিয়ে
বার বার গতরটাকে ঢাকার মিছে চেষ্টা।
এই দিককার কনকনে শীত গাঁয়ে লাগা ঠেকাই তো ওইদিকে লাগে।
মধ্য রজনীতে যখন কাঠ-খড় ফুরিয়ে যায়
আগুনের তাপ গায়ে লাগানোর খড়কুটো টুকুও থাকে না,
গুটিসুটি মেরে রাস্তার পাড়ে শুয়ে রই।
হঠাৎ করেই গায়ের উপরে মোটা নরম
কি যেন এক বস্তুতে আপাদমস্তক ঢেকে যায়।
মাথাটা উঠিয়ে দেখি কিছু ছেলে চুপি চুপি
নিঃশব্দে ভালোবাসার উষ্ণতা বিলিয়ে যায়।
মধ্য রজনীতে ওরা চুপি চুপি আসে
আর পুরো শহরে নানান রংয়ের
ভালোবাসার উষ্ণতা বিলায়।
দেখে যেন মনে হয় ওরা আমাদেরই ছেলে
আমাদেরই ভালোবাসার ডোরে বেঁধে যায়।
হয়ত রক্তের নয়, নয় পেটের
দেখে যেন মনে হয়
ওরা হৃদয়ের!!