মা, মা তো বড্ডো সেকেলে;
প্রথা-রীতি আর কুসংস্কারে মোড়ানো,
দু:স্বপ্নে ভীত!
মর্ডান হাল-ছাল কি আর মা বুঝে!
মা-তো একটু বেশিই ডিস্টার্বিং,
মর্ডান ছেলে-পেলের কাছেতো
প্রায় অসহ্য আর কিছুটা মূর্খ।
সব মা-ই স্ব স্ব যুদ্ধে বিজয়ী
নয় মাথা নোয়াবার,
শুধু সন্তানের তর্কে স্বেচ্ছায় হেরে
সরিটাও নরম সুরে মা-ই বলে,
বোকা সন্তান কি আর তা বুঝে!
মায়ের সরিতে সে যে
নিজেই গেছে ব্যাকফুটে।
ভূমিষ্ঠ হয় সন্তান,
ধীরে ধীরে যদিও মায়ের সাধ্য বাড়ে
তবে বাড়ে না মায়ের সাধ;
দিনে দিনে সাধহীন, স্বার্থহীন
মানুষে পরিণত হয় যে মা,
সব অ্যামভিশন এখন যে শুধুই তার
খোকা-খুঁকি কে ঘিরে।
হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রমে
মায়েরা হয় না ক্লান্ত কিংবা পরিশ্রান্ত,
সব কষ্টই গুছে যাবে
যেদিন তাঁর সন্তান হবে পরিপূর্ণ মানুষের মতো।
মায়েরা জানে না উচ্ছাভিলাষী জীবন-যাপন,
আদরের সন্তানকে চড়ায়
আধুনিক যান উবার কিংবা পাঠাওতে,
নিজে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পাড়ি জমায়
মাইলের পর মাইলে
লোকাল বাসের হাতল ধরে।
মায়েদের দুইটা শাড়ীতেই বছর পার,
আর ছেলে-মেয়ের জন্য
নামী ব্রাণ্ডের দামী কাপড় ছাড়া কি আর তাদের মন ভরে।
মা, মা-তো এক নীরব যোদ্ধা
যে যুদ্ধে তিনিই বীরশ্রেষ্ঠ!!