তোকে নিয়ে অনেকদিন লিখবো বলে ভাবছি,
যেদিন তোর কন্ঠস্বর বাজলো আমার কর্ণকুহরে
কিছুটা স্মৃতিভ্রম, বিস্ময় ও জড়তায় নিজেকে আচ্ছন্ন করেছি।
আড়ষ্ট আমার ভরাট কণ্ঠস্বর
তুই তো সাবলীল, অথচ আমার ভেতরের রক্তস্রোত
সমুদ্র গর্জনে ফুঁসে উঠছে বারবার
শিরা উপশিরায় চলছে ঘোড়দৌড়
ভেতরের উত্তাপ যেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি
কিন্তু তুই কিছুই বুঝলিনা।
সেই কবেকার বসন্তের ফোঁটা ফুলে
নিজের আবেগকে জড়িয়ে রাখলি
এতো প্রেম কই পাস তুই?
এত গুলো বসন্ত পেরিয়ে গেল
কত ফুল গেল ঝরে
ভ্রমরের শত শত গুঞ্জনে
ফুলে ফুলে মধু আহরণে।
ঝরা পাপড়ির আজ কেন এত ব্যাকুলতা
শুকনো বাতাসে উড়ে।
এত দম পাস কই?
আবার ষোড়শী হয়ে চপলা চঞ্চলা হরিণীর বেশে
মোহ আর প্রেমে উদ্বেলিত হয়ে
রক্তস্রোতে কেন তুলিস ঝড়?
এ যে বিষের প্রেম! দংশনে দংশনে নীল হই আমি
বেঁচে থাকার আকুতি আমার-
সিংহের গর্জনে বাতাসে মিলায়।
যতটুকু প্রাণ আছে তবে
বিষের পেয়ালা নেই টেনে,
তুই যে অমৃত বিষ।
চতুর্দশীর চাঁদ হয়ে তুই ভরা যৌবনে
পূর্ণিমার জোয়ারে ভাসায়ে
আমায় কি ডুবিয়ে মারবি?
আমৃত্যু আলিঙ্গনের প্রতিশ্রুতি পেলে
আমি শূন্যতায় হারাই অবলীলায়।
সময়ের কাঁটা পেছনে ঘোরাতে ঘোরাতে
অবশেষে ক্লান্ত হই।
ঠিক তোকে ছুঁয়ে ফেলার ক্ষণে,
সম্ভতি ফিরে পাই।
আবারো বিষ্মিত হই-অসময়ের অলীক স্বপনে।