মাঝে মধ্যে ভ্যালেন্টাইনপার্কের লেকে নৌকায় বসি। স্মৃতিমগ্ন হয় দুটি চোখ।ভেসে ওঠে শাইলধানের ক্ষেত, নবান্ন উৎসব।হঠাৎ ঢেকি আর চুড়ির শব্দে ভেঙ্গে যায় ধ্যান।

একদিন বাপ দাদার প্রিয় জমিনের শেষ আইল অতিক্রম করি। ইমিগ্রিশন ডেস্কে জমা দেই পৈত্রিক সীমানা।অফিসারটির মুচকি হাসি সম্বল করে হই পরবাসি।এখন বাইন্ডিং থেকে খুলে যাওয়া বইয়ের পাতার মতো উড়ছে ভবিষ্যত।

দেশপ্রেম বড়ই আজব নেশা। যেখানে গাঁজা আফিম, উইগ কিংবা ব্রাউন সুগার দূর অতিথি। এখানে বুড়িগঙ্গায় ইলিশের ঘাইয়ের শব্দে কেঁপে ওঠে থেমসনদীর পাড়।আর  ভোরের নাস্তায় কিংসমিল ব্রেডে খুঁজি শাইল ধানের ভিজা চিড়ার স্বাদ।  


এখন ইস্টলন্ডনের আকাশ জুড়ে ঝলমল স্বদেশী চাঁদ।আর ডেফোডেলির বাসরে বসে খুঁজি ষরিষা ঘ্রাণ।


১৭/০৭/২০১৬