মুখাগ্নির কাঠ
অরুণ কারফা

কনকনে ঠাণ্ডার ছায়া কিনেছিলাম, প্রাণপণে তাকে ভালবেসেছিলাম
               তা সত্ত্বেও, শ্বাস প্রশ্বাস কিংবা তার জন্মদাতার
আত্মার কথা ভাবিনি সুদিনে , রাতেও স্বপনে
তাই, ডালপালা কাটার শব্দ যখন আসছিল কানে
পাত্তা দিইনি সেদিন যৌবনে,
আর আজ, অতৃপ্ত আত্মা ঘুরে তার দিয়ে যাচ্ছে বার্তা ঘুরে ঘুরে ক্রমাগত ভূবনে
যাতে , চিত্ত স্নিগ্ধ করা হাওয়ার বদলে
পিত্ত জ্বলছে ,
খড়ের আঁটির মুখাগ্নির আগুনে।

মনে পড়ে যায়,
নিজের হাতে বীজ পুঁতে
জল দিয়েছিলাম মায়া ভরা স্নেহে কোমলতার স্পর্শ পেতে
আর আজ, প্রশান্ত মায়ায় সুখ শয্যায় ধাতব কাঠামোয়
শুয়ে শুয়ে যাই  
যাত্রীর কাঁধে শেষ লগ্নে বৈদ্যুতিক চুল্লির নির্জন শ্মশানে।