শিশির পড়া
অরুণ কারফা
ওরা এসেছিল অতি নীরবে ভোরের দিকে সবান্ধবে,
শান্তির আশায় তমার মাঝে আলোর বিচ্ছুরণ করতে সমাজে,
বোধহয় তখন ভেবেছিল তপন
আলোকিত করে উঠলে গগন আলোর সাজে
উচ্চ শ্রেণীর বৃক্ষরাজী শুষে নিলেও প্রাণ পথের মাঝে ;
যেটুকু থাকবে উচ্ছিষ্ট
তাকেই করে প্রতিফলিত
যারা আছে শোষণে নিমজ্জিত,
জ্ঞানচক্ষু করে উন্মোচিত তাদের করবে উজ্জীবিত।
কিন্তু এ কী! তপ্ত রোদের শক্ত ঘায়ে
সামান্য একটু এগোলে বেলায়
তাদেরই হল স্বর্গ প্রাপ্তি,
যেমনটা হয় মুনি ঋষিদের আজকের দিনে পরিণতি।