শিশির হাসে শুকনো ঘাসে
অরুণ কারফা
বারণ করা সত্ত্বেও আসে
কারণ জানতে চাইলে হাসে
অনেকটাই, রঙ্গিনীদের মতন, আসেনা করে রাখলেও আয়োজন
অথচ হয় তখন আগমন যখন তারা গতযৌবন
আর, সেহেতু নেই প্রয়োজন।
তবে পড়ে থাকে না বেশিক্ষণ
সোনালী রোদের অপেক্ষা করে দেখে তাকে চোখের আড়ে
বিদায় জানিয়ে অজুহাত বানিয়ে
হাসতে হাসতে আবার ফেরে ভাসতে ভাসতে শুকনো বাতাসে
কালোর থেকে নীল হয়ে ওঠা আকাশে।
আবার এও বলে
ছেড়ে যেতে চায় না মন ক্ষণস্থায়ী এই জীবন
হেমন্তের অমোঘ ডাকে শুকনো হওয়া ঘাসের বুকে
না এলে যে দেয় না দর্শন,
'অকৃতদার সেই সন্ধিক্ষণ'
সপ্রতিভ সূর্যের সাথে অপ্রতিভ চাঁদের যখন
হচ্ছে মহাজাগতিক মিলন।
আর নাট্যাঙ্গনে দেখে এসব একটুও না তুলে কলরব
শুকনো হাওয়ায় শিশির ভেজা সিক্ত আবেশে
ঘাসফুল মুখ টিপে হাসে। ।