কালিন্দী নদীর তীরে
অরুণ কারফা

রোজ বিকেলে কালিন্দী তীরে ছন্দে ছন্দে সে নূপুরে
জল ভরতে আসত হয়ত যদি না তা পৌঁছে দিত
পৌরসভা ঘরে ঘরে।

অথবা বিদ্যাসাগরের মত যেভাবেই হোক করতে রপ্ত, দুর্লভ জ্ঞান
সন্ধ্যে বেলায় আধো আলো আধো আঁধারে
হয়ত জলাঞ্জলি দিয়ে মান,
পড়তে আসত রাস্তার ঐ নির্জন ধারে।

নতুবা স্বজনের খবর আনতে কিংবা নিজের কুশল জানাতে যেতই ক্লেশে আলুথালু বেশে গ্রামের শেষে ডাকঘরে সে
যদি না আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ধংস করে এক্কেবারে পাঠাত তারে বিস্মৃতির ওপাড়ে।

সে যাই হোক, এই সব অবাঞ্ছিত, বহু জনের অতিকাঙ্খিত, তথাকথিত আধুনিকতার বিকাশ
করল এমন সর্বনাশ,
প্রেম প্রকাশের অনুভূতি হয়ে উঠল পানসে অতি
অনাকাঙ্খিত হলেও সংস্কৃতির করে বিনাশ।