এঁদো পুকুরে
অরুণ কারফা
সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এক টুকরো বাতাস
মাতালের মত মাতিয়ে আকাশ বাউল গেয়ে
বৃন্ত থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে
ফেলে দিল টলটলে এক কাজল দিঘীর জলে,
পুনর্জন্ম হবেই ভেবে এমন করার ফলে।
কাজল দিঘী কেন,
হতেও তো পারত কোনো তাল পুকুরের ঢাল বেয়ে নামা
আগাছার মাথায়, না থাকলেও পরিচ্ছন্ন জামা তার গায়ে,
মুকুটের মত সাজিয়ে দিয়ে
কনে দেখা আলোয় কিছুক্ষনের জন্য রাজ কণ্যা বানিয়ে
সার্থক করে তার জন্মানো, অবহেলিত মুখে হাসি ফুটিয়ে।
এ সবই হল জন সমক্ষে দিন দুপুরে
কাজল দিঘীকে যার পর নাই গুরুত্ব দিয়ে
আর, ধুলো বালি ছেঁড়া ন্যাকড়া ফেলে দিয়ে এঁদো পুকুরে,
যা হয়ে আসছে আদ্যিকাল থেকে ঘুরে ফিরে।