শিরদাঁড়া সোজা রাখা
অরুণ কারফা
পাখির মত মন মাতানো প্রাণ জুড়ানো সৃষ্টির নেশায়,
নানান রাগে পরান খুলে হাওয়ায় দুলে যে গান গায়
নাকি, পা না চলায় হাতের ডগায় যে দেয় অসহায়কে সহায়
কাকে আমি বেশি ভালবাসি
পড়ে গেছিলাম সেই দোটানায়।
সমাধানের সূত্র নিয়ে শিশিরের বেশে মিত্র এসে
সেদিন এগিয়ে ভোর বেলায়
চমকে দিল চোখ ধাঁধানো মন ভোলানো সূর্যের রশ্মি
ঠিকরে দিয়ে অবহেলায়,
বুঝলাম, এক রত্তির পরিশ্রুত জলবিন্দু যদি পারে শক্তির উৎসের রক্ত চক্ষুর তোয়াক্কা না করে তার পাঠানো উপহার ফিরিয়ে দিতে
তাহলে, আমি কেন পারবো না, লাঠির অবলম্বন ছেড়ে শিরদাঁড়াকে টানটান করে উঠে দাঁড়িয়ে
বাঁশি কে তার প্রাপ্য শিরোপা হাসি মুখে জিততে দেখতে।