বন্দীত্ব
অরুণ কারফা

বারে বারে,
আজকাল যে সারাক্ষণ কেন জানি না বলে মন
ফিরে যাই সেই প্রাক্তন কারাগারে,
    যেখানে ছিল না কোনো দায়িত্ব
               আর ছিল না একাকীত্ব,
সঙ্গ দিচ্ছিলেন মা জননী, টিকে থাকতে নির্ভয়ে
যতক্ষণ না উঠছি বেড়ে সেই এক কামরার ঘরে
সংরক্ষিত গর্ভাশয়ে।

হয়ত প্রয়োজনেই বাঁচার
প্রথম কান্না শুনিয়ে সেবার দিলাম মাথায় ঢুকিয়ে সবার :
পৃথিবীটা বড্ড নিষ্ঠুর তাই
নিঃসঙ্গতার জামা পরে লড়তে হলেও লড়ব একাই।

সে যাই হোক, এরপর আর দেখিনি ঘুরে , চাইনাও তাকাতে ফিরে;
                       যার জন্য জগতে আনা
করে যেতে চাই সে কাজ খানা
                       রক্ত দিয়েও, ষোলোআনা
শকুন বিদ্ধ করে।