অনাকাঙ্খিত সর্বনাশ
অরুণ কারফা
আদিম কালে
যেদিন হয়ত ছিল না ঝর্ণা
সশব্দে যে ব্যক্ত করত
নিস্তব্ধ প্রেমের ব্যাকুল প্রার্থনা,
ছিল না কোনো কঠিন হৃদয়ের অনড় পাথর
তার আবেদনে সাড়া দিয়ে যে করলেও করত তাকে গ্রহণ।
হয়ত ছিল না মরুভূমিও কোনো
যার উপর দিয়ে করত মরীচিকা ভ্রমন,
অথবা কোনো শীতল হিমবাহ
ন্যূনতম উষ্ণতার দিত না যে প্রিয়তম আলিঙ্গন।
না থাকলেও এদের উপস্থিতি
তবুও পেরিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি,
হাতে হাত রেখে - হাত না মিলিয়ে
চোখে চোখ রেখে- উপড়ে নিয়ে
পদযাত্রা শুরু করে মানুষ বুঝেছিল একদিন, হিংসার পথ ধরে যায় না এগোনো খুব একটা দূরে
তাই, বাধ্য হয়েই সন্ধি করে নিজেদের মধ্যে সমস্বরে
সভ্যতার গান গাইতে চাইল একাত্ম হয়ে অভিন্ন সুরে।
আজ আবার, যেই শুকোচ্ছে ঝর্ণা
গুঁড়ো গুঁড়ো হচ্ছে পাথর কণা
মরুভূমি করছে মরুদ্যান গ্রাস...
আর, হিমাবহের হচ্ছে উত্তাপে বিনাশ,
মানুষ এখন , ভেদাভেদের লড়াইয়ে,
থেকে থেকে চরণে বিপদ ডেকে এনে
নিজেদের হাতেই প্রকৃতিকে মেরে
ডেকে আনছে সমগ্র প্রাণীর বিনাশ।