চোখের বালি
অরুণ কারফা

সীমিত ইচ্ছা শক্তি দিয়ে  শিশির ঝরিয়ে পারতাম যদি
দু হাত পেতে সারাটা অঙ্গে মেখে নিতে
বিনিদ্র রজনী কাটাতে হত, ভোর পর্যন্ত উৎকণ্ঠাতে।

যদিও মন দ্বন্দ্বে ভরা
কোনটা বেশি মোহিত করা
                                 ভোরের আলোয় শিশির ঝরা  
নাকি, উদিত সূর্যের প্লাবিত রৌদ্রে সমুদ্রের জলের
অতৃপ্ত চরণ স্পর্শ করা।

অবশ্য সেক্ষেত্রে হয়ত,
তীব্র দহনে মরুভূমির মত সৈকতের আবাসিক বালিয়াড়ির চোখে
পা দুটো হত দুচোখের বালি,
কারণ, তারই তো হচ্ছে প্রথম অধিকার
যা কিছুর হচ্ছে প্রথম আবির্ভাব,
অপসারণের পর রাতের কালি।