মধুর দহনে পুড়ি যখন তখন, জানালার কাঁচভেদী রোদের মতন
তোমার চাহনি ভেদ করে যায় বুক
দৃষ্টির শেষ স্ফুলিঙ্গে গোপন আলিঙ্গনের উষ্ণতা, আমি তালগাছ হবো
বজ্র আমায় যতই পোড়ে পুড়ুক
তুমি ফিসফিসিয়ে ওঠো যদি নির্জন প্রহরে, আমার হৃদয় অলিন্দে
রক্ত ছলকে ওঠে, হুহু করে মনোমন্দির। আমি যেন হয়ে যাই সে পুরুষ
কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণ চুম্বন।
তোমার দু-চোখ যদি গভীর পুকুর হয় কাটবো সাঁতার, প্রেমহীন
খাঁখাঁ মরুতে নামাবো প্রেমের প্রপাত
মুহূর্তে বদলে দেবো সমস্ত ভুবন, রিকশার হুড ফেলে দিয়ে যদি ধরো
আমার দু’টি হাতে তোমার দু-হাত
যদি শুষ্ক আঁচলে দাও মুছে কপালের ক্লেদ, ভালোবাসা গুঁজে দেবো
তোমার চুলের মায়াবী খোঁপায়। তোমার প্রেমিক হয়ে যাবে এমন নাগর
কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণ চুম্বন।
ঘোর অমাবস্যায় যদি দেয় উঁকি তোমার ঝলক, আমি চাঁদ ডোবা আঁধারে
সাজাবো গহিন বিজন বসতি
রঙিন ফানুস জ্বলুক তোমার দু-চোখে, তোমার কোমরে পড়ুক বাঁধা
আমার পৃথিবীর সমস্ত গতি
তোমার আঁচলে আমার অনন্ত শয্যা পাতা। যদি তিরতির করে কাঁপে
তরমুজ রাঙা ঠোঁট দু’টি, ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের কসম, আমি হবই সে প্রণয়ী
কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণ চুম্বন।
*
কবিতা : কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণ চুম্বন
কবি : #আকিব_শিকদার
কাব্যগ্রন্থ : কৃষ্ণপক্ষে যে দেয় উষ্ণচুম্বন, ২০১৬