দুজনার মাঝখানে আজ মহাদেশ--মহাসাগর দূরত্ব!
নাকি গ্যালাক্সি?
বোধহয়, তারচেয়েও অনেক বেশী!
জায়গাটা ছিলো হিথরো এয়ারপোর্ট--
লম্বা পথ পরিক্রমার পর যাত্রা বিরতি ছিলো
দীর্ঘ সময় বিমানের ভেতর সেঁধিয়ে থাকা শরীর
মুক্ত বাতাস পেতে ডাঙায় তোলা মাছের মত ফুসফুস হাসফাস।
যদিও টার্মিনাল ভবনটি মোটা কাঁচের ঘেরায়
বাইরে চেয়ে আলোর ঝলকানিতে মন প্রফুল্ল!!
হঠাত বাতাস কেমন অদ্ভুতরকম শীতল হয়ে শিরদাড়ায় কাঁপুনি ধরায়--
একটা ঘোরলাগা পরিবেশ সৃষ্টি
হ্যাঁ তাঁর সাথেই মুখোমুখি !
আটলান্টিক পার হয়ে আমি ইউরোপ ছেড়ে যাচ্ছি এশিয়ার দিকে
আর সে--
হিথরোই ছিলো গন্তব্য---
অচেনা হওয়ার ভান করিনি আজ আর কেউই!
কিছু ব্যথা ব্যাকুলতা
কিছু আকুলতা
ঘন নীল সময়ে ভেসে উঠে একঝাঁক রংধনু,
শালুক-শাপলা,
তুমি কি এখনও প্রবল বর্ষায় কিংবা শীতের রাতে
সেই নদীটির কাছে আমায় আনো?
না কি ভুলেছ ---
হারাই কন্ঠস্বর, বেড়ে যায় গ্রীবার কম্পন, ঠোঁট জোড়াও মৃত
সচল মস্তিস্কে থাকে কেবলি মলিন বিরহ,
বুকে খেলা করে রক্তের প্রবাহ।।
সময়ের সাথে বদলে ফেলেছি নিজেকে---
নাছোড়বান্দা অনুভুতি--বদলাতে পারলাম কই !
কান্নায় অঝোরে বৃষ্টি ঝরে বুকের জমিনে
না কাঁদিনি তখন---চোখের পাতা দুটি ভারি হয়েছিল।।
চারদিক অসংখ্য মানুষের বিবিধ কণ্ঠ ভেদ করে
লাউড স্পিকারের আর্তনাদ "ইয়র ফ্লাইট ইজ অন টাইম"
যাত্রা পথের বিরতি সময় শেস হয়েছে
অশান্ত মনের ডিঙি বেয়ে আমি উঠে দাঁড়াই।
আমার ঘরে ফেরার তাড়া নেই আজ
শীতল বাতাসে শীত শীত লাগছিল খুব ।।