তুই ঠিকেই বলেছিস মাষ্টর
ছিল্যাটোর আর নিখাপঢ়া হবেক নাই ।
তুই’ত বহুৎ কোশিস করলি
কিলায়ে কি কাঁঠাল পাকান যায় ?
একেই কিলাসে দু’দুবার ঘল্টেছে,
এমনেই ইস্কুল থাক্যে ভাগাঞ দেয়,
হামার ছিল্যা বলেই নাই পারল্য
ইস্কুলের পেরসিডেন বঠি ন !
হ্যাঁরে বাপ, ভাত কাপড়ার অভাব নাই
পৈসার অভাব নাই, তবুও নাই পারলি ?
হুঁ করতেই ফটফটি কিনে দিলি
ফট উঠা মোবাইল, ঘড়ি, চশমা
হপ্তায় পাঁচশ টেকা হাতখরচ
আর কি চাইরে বাপ !
গটাদিন মেয়্যাছিল্যার পিছনে ঘুরঘুর
পড়বেকটা কখন !
নাই পঢ়বি ত জমিনগুল্যাই দেখ,
চাষবাস করেই খাবি,
বাবু আবার গবর কাদা দেখলেই
নাক সিঁটকাই ।
বেওসা করত্যেও ত হিসাব কিতাব
বুঝত্যে হবেক ?
শুনলি আইজকাল গাঁজা মদও খাছে,
জুগনিতলার কন এক ডবকা ছুঁড়ির
কাছেও রজেই যাছে ।
তা কর, বেটাছিল্যার দুষ নাই,
উঁর উমরে হামিও কম ছিলি ন’কি ?
হেঁই মাষ্টর, বল’ন উ ছিল্যা
নিখাপঢ়ার লাগ্যে জম্মেছ্যে ?
তারল্যে সিধা পথ পাটীয়ে ঢুকাঞ দে,
বাপের জোরে তরতরাই উঠবেক ।
পরে ল্যাতা মন্তীকে মাল খাঁওয়াই
এম এল এ, এম পি হতেও পারে ।
টেকা ছড়াল্যে কি না হয়
নসীবে থাকল্যে মন্তীও হতে পারে ।
মাষ্টর, দুনিয়ায় এই একেইটো সরকারী
ছাপ মারা নকরি, যাতে নিখাপঢ়ার দাম নাই ।
ই নিয়মগুল্যা বধহয় হামদের কথা ভাবেই,
নাইলে আনপঢ়রাও কলিজের সিকরেটরী
হয়ে অত বিদ্বান লকদের কান ধরে উঠবস করায় ?
একবার মন্তী হতে পারল্যে ছিল্যাকে দেখে কে !
টেকা পৈসা মদ মাইয়্যা – যা লিবে তাই
বিদ্যা, বুদ্ধি, দান, ধ্যান – সবেই ফিরি
শুধু মানুষকে দিনেরাত্যে স্বপুন দেখাই যা ।
বকভঁড় মানুষগিল্যান, ভগাপিঁধা মানুষগিল্যান
স্বপুনে দেখুক গরম ভাত, নয়া কামিজ আর
লাও ডিংলা পুই লতে ভরা নয়া ঘরের ।