মা গো, মা দুগ্গা ! তিনয়নী, দশভূজা !
আর কতকাল ইমন করে মহিষাসুরটোকে কষ্ট দিবি ?
বুকে পা দিয়ে, তিরশুলটো বিঁধে রক্তে রক্তময়
ছলছলাই বইছে রক্ত লদী ।
পৈসায়ালা বাবু-বিবিরা হাসে, তিন তিনটা চইখে
খালি উঁয়াদেরকেই ভাইলে আছিস মা ?
কভু কভু লজরটা ফিরা উপাস কাপাসীদের দিকে
আঁধার ঘরে কারু ডিবরিও জ্বলে নাই
ধুরুক ধুঁসরা ছিঁড়া ফাটা বসনে লাজ ঢাইকে
কাঠ বাঁশের প্যান্ডিলটোকেই দন্ডবত করে,
সিনিমার গানে কমর দুলায়ে লাচে বুলে
গাঁয়ে গাঁয়ে হাটে বাজারে
বুইঝে ন না বুইঝে
সখে না ভইখে, কে জানে ?
ভিতরে ভিতরে ফুঁপায় ফুঁপায় কান্দে
মহিষাসুরের লাতিপুতি কেউ বটে নকি গ ?
মা গো, হঁয়েছে, বহুৎ হঁয়েছে
ইবার অস্তর ছাড়, টুকু দয়াময়ী হ মা ।
দশটা হাত বলি নাই
কমসে কম একটা হাত মাথার উপর রাখ ।
বড় বিটি লছমীকে বল –
পর পর দু বছর খরা
ই বছর জল ন জল গাইদে জল
ঘর ভিটা কাঁড়া ছাগ সব হারায়
মানুষগুল্যর ভিখারীর হালত
মাঠের ধান গেল বানে ভাইসে
কতক রগে পকায়, বাদ বাকি তিতলিতে ।
আঘ্যণের আশক্যা, পউসের গড়গড়্যাটা পাব কুথায় ?
টুকু মুদের কথাও ভাব ।
মা গো, মা দুগ্গা ! জগতজননী, মহামায়া !
আঁতরগ্যা আধমরা অসুরকে আর মারিসনা মা
মারত্যে গেলে পেট মটা ব্যাংক লুইটাদের মার
আমআদমীর খুনপসিনার মেহনতের টেকা
লুইটে পরদেশে ছুঁপাই যায়েও
পার পাবেক নাই
নীরব মেহুল মালিয়ারা ।
উঁদের লাইগেই হামদের গাঁয়ের
তিরলোচন খুঁড়া, পরান বাগদি
ধারের টেকা শুধতে না পাইরে
গলায় রশি বাঁইধে মইরল,
জানে না মইরলেও রাসু বাউরির
ভিটা-মাটি কোরক হয়ে গেল ।
মা গো, মা দুগ্গা ! তিনয়নী দশভূজা ।
তুদের তেতা যুগের জং ধরা ভঁতা অস্তরে
কুন কাজ হবেক নাই মা
অসুরদিকে মাইরতে গেলে মশিনগান
তুলে লে মা । গিড়গিড়াই চালাই দে
হুঁই অসুরগুল্যানদের বুকে ।
যারা দ্যাশটোকে কাবাডিখানায় বিকে
লিজেদের পকেট ভইরছে
যারা জাইত ধরমের নামে দ্যাশটোকে
টুকরা টুকরা করতে চাইছে
যারা মা বহিনের ইজ্জতকে ভরা বাজারে
নিলামে চড়াইতে চাইছে
উদের ছাড়িস না মা ।
তুর পায়ের তলায় খালভরা মহিসাসুরটা
উদের কাছে নস্যি যে মা !
উটাকে ছাইড়ে দে ।