জনম দিন বইলে কুছু হয়না রে গগনা!
বছরের পেত্যেক দিনই মানুষের জনমদিন।
সক্কালবেলায় যখন ঘুম ভাইঙ্গে সূয্যির আল দেখবি, জানবি তুর নয়া জনম হইল।
তাবাদে গটা দিন সঞ্ঝা রাইত খালি বাঁইচে থাকার লড়াই, ইকটু ইদিক উদিক হইলেই সিধা মরণ খাদের
ঘুইসঘুসা আঁধারে ডুইবে রাবি।
ই যেমন কিরকেট মাঠের বল্লেবাজের খেল
যেতনা বলই খেল, একটো গলতিতেই খতম।
গটা দিনটাই তো কাজে অকাজে ফটফটি দিয়ে
চরকি দিছিস, কখন কুথায় কার সঙে ঠক্কর খাইয়ে পেরান পাখি উইড়ে যাবেক, বলা যায় ?
ইখন চাদ্দিকে খালি বোমা গুলির মোচ্ছব
খারাপ লকের পাশাপাশি ভাল লকও তো মরে
ঘরলে বাহিরাবার দরকার নাই ঘরে বইসেই কখন যে কলিজার ধুকপুকি থাইমে যাবেক কেউ বইলতে পারে? মরণটা খুব আসান রে!
বাঁইচে থাকাটাই দুনিয়ায় সবলে কঠিন কাজ।
গগনা রে, জনম দিন উঁদেরই মানায় যাদের
পিঢ়ির পর পিঢ়ি লোকে মনে রাখে, দেশের
লাইগে জাইতের লাইগে যাদের কাজ কাম হামদের বুকটোকে ছাপ্পান্ন ইঞ্চি নাই হোক গরবে ভরাই দেয়।
রবি ঠাকুর, দুখু মিয়া, সুভাষচন্দর জনমদিনটা লোককে ইয়াদ দিলাইতে হয় নাই, সব্বাই আপনেই মনে রাখে। আর হামরা কন হরিদাস পাল
দেশের লাইগে দূরের কথা পড়শীর লাইগেও কুছু কইরবার আশনাইটাই দেখাইতে লারলি ।
কে মনে রাইখবে? চাদ্দিকে অন্যায় অবিচার দেখেও মরা মানুষের পারা হামরা ভয়ে চুপ মাইরে ঘরে বইসে আছি । ইটাও তো মরণ রে । চেতনায় মইরচা ধইরলে উটাকে মরণই বলে। তাই হামরা রোজ জন্মাই রোজেই মরি। আলাদা কইরে কনও জনমদিন হয়না।