ঝাড়ফুঁক করে তুরা ন’কি
বাঁচাস বাসি মড়া ?
শরীলের যত রোগ সারে
খাঁয়ে জল পড়া ?
বাটি চাল্যে ধরিস ন’কি
চোরাই মালের ঠেক
ওঝা গুনীন সাধুর নামে
ধরিস কত ভেক ।
বান মারা ভুতে ধরা
ল্যাংটা ডাহিন লাচ
কত রকম গপ্প ফাঁদিস
লকে ভাবে সাচ ।
টাকা জমিন ছিনাই লিতে
ডাহিন বল্যে মারিস
মারাংবুরুর নাম ভাঙাই
ইজ্জত লুট করিস ।
মাদুলী তাবিজ রক্ষাকবচ
দুবলা মনের জনে
হাত দেখেই ভবিষ বলিস
তরাস ধরাস মনে ।
পেটে মুদের বিদ্যা নাই
নাই টাকা জমিন
বতর বুঝে তাই তুরা
লুটিস মা বহিন ।
ইবার তবে শুনে লে
ছুটু লকের জিহাদ
কাল্লায় কাল্লায় শোধ লিব
সবেই আছে ইয়াদ ।
* কবিতাটি পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে প্রচলিত আঞ্চলিক কথ্যভাষায় রচিত ।
শব্দার্থ
ঝাড়ফুঁক (মন্ত্র বলে বলে ফুঁ দেওয়া); জল পড়া (এক বাটি জলে মন্ত্র পড়ে রোগীকে পথ্য হিসেবে খাওয়ানো); বাটি চাল্যে (বাটির মধ্যে জল ও কড়ি নিয়ে চুরির কিনারা করা); বান মারা (ডাইনির মন্ত্র পড়ে মানুষকে শারীরিক ক্ষতিগ্রস্ত করার ক্ষমতা); ডাহিন (ডাইনি); সাচ (সত্য); মারাংবুরু (সাঁওতালদের ইষ্টদেবতা); দুবলা (দুর্বল); ভবিষ (ভবিষ্যৎ); তরাস (ত্রাস); বতর (সুযোগ); জিহাদ (বিদ্রোহ); কাল্লায় কাল্লায় (পরিপূর্ণভাবে); ইয়াদ (স্মৃতি)