যৌবন তুমি কেড়ে নিয়েছো সব,
নেকড়ের মতো হিংস্র থাবা দিয়ে
কেড়ে নিয়েছো আমার দুর্দান্ত মন,
আর ক্লান্ত মুখের ঘাম মুছে দেয়া
শীতল করা মায়ের কোমল আঁচল,
কেড়ে নিয়েছো আমার বক্ষ তরীর
স্বপ্ন মাখা স্বপ্নিল সুন্দর অষ্টপ্রহরের
স্নিগ্ধ চঞ্চল শৈশব থেকে কৈশোর।
যৌবন তুমি কেড়ে নিয়েছো সব,
ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণি খেলায়
কেড়ে নিয়েছো বক্ষের বসত বাড়ি ঘর,
আর হৃদয়ের আকাশে তারকা খচিত
পূর্ণিমা রাতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার চাদর,
কেড়ে নিয়েছো আমার নীল আকাশের
শুভ্র মেঘের ভেলায় ভাসা অবুঝ অন্তর,
ঠেলে দিয়েছো নির্জন অন্ধকারের ভিতর।
যৌবন তুমি কেড়ে নিয়েছো সব,
গাঙচিলের মতো দুর্নিবারে ছোঁ মেরে
কেড়ে নিয়েছো আমার হৃদয়ের তরণী,
আর বিক্ষিপ্ত মেঘে ঢেকেছো এই ধরণী,
যে ছিলো অজস্র বছরের সাধনার ধন
অচেনা কোন ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মতো
কেড়ে নিয়েছো আমার খেলার সঙ্গিনী,
যে এখন পূর্ণ যৌবনা মায়াবিনী রমণী,
হৃদয়ের বাঁধন ছিঁড়ে চলে গেছে দূরে,
অক্লেশে হয়ে গেছে অন্য ঘরের ঘরণী।