উন্মাদনার বিষাক্ত ছোবলে, নিষ্ঠুর এই ধরাতলে;
অশরীরী শূন্যতারা মিছিল করে দলে দলে,
উপার্জনের সর্ব পথ রুদ্ধদ্বারে বন্ধ বলে,
বক্ষজুড়ে কষ্ট মাখা নিত্য তুষের আগুন জ্বলে,
বেকারত্বের অভিশপ্ত উষ্ণ করা দাবানলে।
শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধু স্বজন সর্বদাই সবাই বলে,
তব জীবন দুরন্তপনা করেই কি যাবে চলে?
সবার এমন দায় সারা তিক্ত কঠিন ভাষার ফলে,
প্রতিনিয়ত মনটা ডুবে নীল দরিয়ার অতল তলে,
কেউ বুঝে না বক্ষে কেন নিত্য তুষের আগুন জ্বলে!
সভ্যতার এই ধূম্রজালে রুদ্ধশ্বাসে সময় চলে,
অফিস পাড়া ঘুরে ঘুরে রক্ত ঝরে পদতলে,
মামা চাচার শক্ত খুঁটির তদবিরের জোর নেই বলে,
ঠাঁই মিলে না অফিস পাড়ার ছোট্ট কোন কর্মস্থলে,
দিশেহারা কষ্টরা তাই অন্তরে ভিড় করে শতদলে।
নিত্য ঘরে বাবা মায়ের তিক্ত কথার যুদ্ধ চলে,
অপদার্থের জন্মটাই ভুলের মাশুল ছিলো বলে,
অশান্তির এই বহ্নিশিখা নিভে গিয়ে শান্ত হলে,
বক্ষ জুড়ে হায়েনাদের হিংস্র থাবার খেলার ছলে,
প্রতিটি প্রহর কাটে নীরব কান্নার চোখের জ্বলে।
তবুও জীবন জঠর জ্বালার অনাদরে যাচ্ছে চলে,
চাকরি বিহীন অভিশপ্ত বেকারত্বের অতল তলে,
ক্ষণে ক্ষণেই ভাবি মনে, ছুড়ে ফেলি সব ক্ষুধানলে;
পঁচিশ বছরের জমানো সব সনদ নিয়ে করতলে,
ভাসিয়ে দেই অশ্রুসিক্ত দুই নয়নের নোনা জলে।