কখনো তুমি জানতে চাওনি
আমার কেন নষ্ট সময় কষ্টে গেল,
কেন আমার ছোট্ট হৃদয়ে কাল বৈশাখীর ঝড় এলো,
কেন আমার মন পাখিটা শিশুর মতো কেঁদেই গেল!
ষড়ঋতুর পালা বদলে
এতটা সময় কেটে গেল,
কখনো বলোনি একটু এসে আদর দিও,
কখনো বলোনি আমায় ভেবে
রাতের আকাশে জ্যোৎস্না দেখো,
অবুঝ মনের নীরব ভাষায়
কখনো ডাকোনি এই নাও পথিক
নরম হাতের নরম পরশ।
ছায়া ঘেরা নীরব অবসরে কখনো ভাবোনি,
কেন আমার চোখের তারায় ঘুম আসে না,
ঘুম যদিও আসে তবু স্বপ্ন কেন আসে না,
কেন আমার বুকের মাঝে সুখ থাকে না,
কখনো ভাবোনি কেন আমার সুখ থাকে না।
বৃষ্টি যেমন আকাশ ছুঁয়ে মাটিতে নেমে আসে,
তুমিও ঠিক অবুঝ অহঙ্কারে
বেদনার নীল বিষের মতো
আমার চোখে ভেসে বেড়াও
শ্রাবণ দিনের অবিরাম শ্রাবণ ধারায়।
আশায় আশায় দিন চলে যায়,
দিনের পরে রাত কেটে যায়,
কখনো বলোনি একটু এসে চোখের কোণে চুমু এঁকো,
কখনো বলোনি সবুজ ভোরে যুগল হাতে শিশির মেখো,
মনের যত আশা ছিলো স্বপ্ন হয়েই রয়ে গেল,
শুনলে না তুমি হৃদয়ের ডাক,
কালের স্রোতে ভেসে গেল আমার বুকের বসত বাড়ি।
কুয়াশা যেমন নিয়তির খেলায় তোমাকে লুকিয়ে রাখে,
আমিও ঠিক তেমনি করে
বিশাল ভুবন তন্নতন্ন করে
তোমাকে যখন খুঁজে পেলাম,
সেই আমি তোমার কাছেই ছুটে এলাম,
কেন এলাম?
শুধু তোমায় ভালোবাসি বলে।