পাহাড়ের বুকে শুনি তোমার কম্পিত আর্তনাদ,
এইতো তোমার খুব কাছেই এসেছি আমি;
ঝরণার জলে তৃষ্ণার্ত পাথরের নিরন্তর পথচলা;
বৃক্ষের ডালে রক্তিম ফুলের স্নিগ্ধ সুবাস,
তুমি চিনতে পারোনি আমায়!
দূর নীলিমায় আমি রূপালি জ্যোৎস্না;
দিগন্ত বেয়ে নেমে আসা শীতল বরিষণ,
চোখ থেকেও অন্ধ তুমি, দেখতে পারোনি আমায়;
অন্ধকারের বুকে আমি জোনাকির আলো;
নীলিমার নীলে ভেসে উঠা ঝলমলে সূর্যের আভাস,
সে আমার সহস্র জনমের অধরা প্রেম।
ভালোবাসা শিল্পীর তুলিতে আঁকা জল রঙের ছবি;
কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল,
ভালোবাসা কবির কলমে জেগে উঠা জীবন্ত কবিতা;
নিরন্তর ছুটে চলা জীবন সংগ্রামীর ধকল,
ভালোবাসা প্রেয়সীর চোখে প্রতীক্ষার অশ্রুধারা;
জ্যোৎস্নার চাদরে ঢাকা প্রেমিকের কোজাগরী প্রহর,
ভালোবাসা মৃত্তিকার বুকে জেগে উঠা সবুজ প্রান্তর;
মায়ের হাতের অমৃত সুধা তৃষ্ণার জল,
মাটির মমতার স্বপ্নজাল বুকে;
আজন্ম প্রেমিক, সভ্যতার আদিম মানব।
ভালোবাসা কুড়াতে আসিনি, শুধু বিলাতে এসেছি;
আগের যুদ্ধে যে প্রেমিক হারালো তার পর্ণকুটির;
একটুও খুঁজিনি তার মর্মব্যথা,
লন্ডভন্ড করেছিলো বক্ষে বিদ্ধ গুলির জ্বালা;
কেউ মুছে দেয়নি তার অশ্রু জল,
বিষাদের ছায়া পেরিয়ে ধু-ধু প্রান্তরে দাঁড়িয়ে আছি আজো,
ঘাস ফড়িং এসে ছুঁয়ে যায় হাতের রক্তিম ফুল,
নির্লিপ্ত নয়নে তাকিয়ে দেখে;
লাল সবুজের কেতন উড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিজয়ী প্রেমিক,
স্নিগ্ধ নয়নে তার নাড়া দিয়ে যায় হিমেল সমীরণ;
অন্তর গহিনে জাগিয়ে দেয় প্রণয়ের আন্দোলন,
ভালোবাসা কর্দমাক্ত মাটির সুগন্ধ;
মনুষ্যত্বের ফসলে ভরা উর্বর সবুজ তেপান্তর।