তন্দ্রা ছুটে যায় হঠাৎ,
কুয়াশা ঘেরা এই শীতের রাতে,
ঘর্মাক্ত শরীরে জেগে উঠি,
বুক ভরা নিরাশা নিয়ে,
হৃদয়টা শূন্য মনে হয়,
মনে হয় হারিয়ে গেছে সব,
চেয়ে দেখি চারধার শূন্য,
কোথাও কোন কোলাহল নেই,
থমথমে নীরবতায় ঘেরা রজনী।
নিস্তব্ধ নিশীথে আমি বসে একা,
ভাবনার দুয়ার খুলে ভাবি,
প্রিয়তমা, তুমি এখন কি করছো?
নিষ্পাপ শিশুর মতো ঘুমিয়ে আছো,
নাকি তন্দ্রার ঘোরে আমারই মতো
ভয়ঙ্কর কোন স্বপ্নে ভাসছো,
নাকি সারা রজনী জেগে জেগে
আনমনে আমাকে নিয়েই ভাবছো?
হৃদয়টা ধু-ধু মরুর মতো মনে হয়,
আলো আঁধারির খেলা অসহ্য লাগে,
আনমনে শুধু তোমাকে নিয়েই ভাবি,
আর প্রতীক্ষার প্রহর গুনি,
কখন হবে আলোকিত ভোর,
রক্তিম সূর্যটা কখন উঁকি দিবে আকাশে,
কখন ভাঙ্গবে তোমার স্বপ্নিল ঘুম,
ভোরের পাখির কলতানের সুরে,
কখন দেখবো তোমার অপরূপ রূপ,
ভোরের শিশির ঝরা ঐ পুষ্প কাননে।